কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ড্র করেই খুশি ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজ়ো। মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ড্র করেছে ইস্টবেঙ্গল। ১ পয়েন্ট পেয়েই খুশি ব্রুজ়ো। স্ট্রাইকাররা গোল করতে না পারলেও কোচ তাঁদের প্রশংসা করেছেন।
চোটের ফলে তিন বিদেশি খেলিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তার পরেও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ভাল খেলেছে তারা। অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করেছে। সেই কারণেই ফুটবলারদের প্রশংসা করেছেন ব্রুজ়ো। তিনি বলেন, “অনেক চোট-আঘাত সত্ত্বেও প্রথমার্ধে আমরা এই মরশুমের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছি। কিন্তু আমরা কাঙ্ক্ষিত গোল পাইনি। ম্যাচের পর ম্যাচ আমরা আরও সংগঠিত, আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছি। মুম্বই সিটি এফসি-র মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ক্লিন শিট রাখা আমাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।”
গোল করতে পারলেই জিতত ইস্টবেঙ্গল। সেটাই হয়নি। ব্রুজ়ো জানিয়েছেন, তিন পয়েন্টের জন্যই নেমেছিলেন তিনি। লাল-হলুদ কোচ বলেন, “এই ম্যাচে আমরাই সেরা দল ছিলাম। তিন পয়েন্টের জন্যই খেলতে নেমেছিলাম। সেটা পেলে ভাল হত। কিন্তু দল যে ফুটবল খেলেছে, তাতে আমি খুশি।”
আরও পড়ুন:
দলের স্ট্রাইকার দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস অসংখ্য সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি। তাঁর দু’টি শট পোস্টে লেগেছে। নতুন স্ট্রাইকার রিচার্ড সেলিসও গোল করতে পারছেন না। তার পরেও তাঁদের খেলায় খুশি ব্রুজ়ো। তিনি বলেন, “দিয়ামানতাকোসের শট আজ দু’বার পোস্টে লেগেছে। দিমি বক্স প্লেয়ার। ওকে সঠিক জায়গায় থাকতে হবে। আমি নিশ্চিত, এক বার গোল পেলে ও ছন্দ ফিরে পাবে এবং ধারাবাহিকভাবে গোল করতে শুরু করবে। স্ট্রাইকাররা মাঝে মাঝে গোল পায় না। কিন্তু সেই দুঃসময় কেটেও যায়। সেলিসও খুব ভাল খেলেছে। আমি নিশ্চিত ও খুব তাড়াতাড়ি গোল পাবে।”
এখন পয়েন্ট তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ১৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট তাদের। প্লে-অফে উঠতে হলে বাকি ছ’টি ম্যাচেই জয় দরকার লাল-হলুদের। যে ভাবে দল খেলছে তাতে সেটা হওয়া কঠিন। ব্রুজ়ো নিজেও স্বীকার করেছেন যে প্লে-অফে ওঠার সুযোগ আর প্রায় নেই বললেই চলে। তার পরেও দলকে তাতাচ্ছেন তিনি। ভাল ফুটবল খেলে মরসুম শেষ করতে চাইছেন ব্রুজ়ো।