প্রথম লেগে লড়াই যখন গোলশূন্য শেষ হওয়ার দিকে যাচ্ছে, ঠিক তখনই প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ফির্মিনো। অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কর্নারে হেড করে। সালাহর মারা লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলের শট অবশ্য প্রতিহত হয়ে গতি পরিবর্তন করে জালে জড়িয়ে যায়।
উচ্ছ্বাস: লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলের পরে সালাহ। ছবি রয়টার্স।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে থাকল লিভারপুল। বুধবার সান সিরো স্টেডিয়ামে ইন্টার মিলানকে ২-০ হারিয়ে। দু’টি গোলই হল খেলার শেষ দিকে। করলেন রবের্তো ফির্মিনো (৭৫ মিনিট) ও মহম্মদ সালাহ (৮৩ মিনিট)।
প্রথম লেগে লড়াই যখন গোলশূন্য শেষ হওয়ার দিকে যাচ্ছে, ঠিক তখনই প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ফির্মিনো। অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কর্নারে হেড করে। সালাহর মারা লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলের শট অবশ্য প্রতিহত হয়ে গতি পরিবর্তন করে জালে জড়িয়ে যায়।
হেরে গেলেও ইটালির লিগ চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের ভালই দাপট ছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। ফির্মিনোর গোলের আগেই ইন্টারের হাকান ক্যালহানোগ্লুর শট বারে লাগে। বুধবার রাতে ইতিহাসে নাম উঠে গেল ১৮ বছর ৩১৮ দিন বয়সের ফুটবলার হার্ভে এলিয়টের। লিভারপুলের জার্সিতে তিনি সবচেয়ে কম বয়সে চ্যাম্পিয়ন্স খেললেন। হার্ভে খেলেন মিডফিল্ডে। য়ুর্গেন ক্লপ তাঁকে প্রথম এগারোতেই রেখেছিলেন। পরে অবশ্য তুলে নেন।
লিভারপুলের পক্ষে খারাপ খবর দিয়েগো জোটার চোট পওয়া। এ’মরসুমে যিনি নিয়মিত গোল করে যাচ্ছেন। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পর্তুগিজ তারকার জায়গায় নেমেই ফির্মিনো গোল করেছেন। সব প্রতিযোগিতা মিলে লিভারপুল টানা সাত ম্যাচে জিতল।
এই ম্যাচে মিশরের সালাহ বনাম বসনিয়ার এডিন জ়েকোর দ্বৈরথ দেখার আগ্রহ ছিল অনেকের। একসময় তাঁরা ইটালির ক্লাব রোমায় একসঙ্গে খেলতেন। ২০১৬-’১৭ মরসুমে এই জুটি চমক দিয়েছিল ৫৭ গোল করে। ইন্টারের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে এ’মরসুমে ১৪ গোল করে ফেলা জ়েকো লিভারপুলের বিরুদ্ধে অবশ্য গোল পেলেন না। সালাহ তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন। বরং ইন্টারকে এগিয়ে দিতে পারতেন আর্জেন্টিনীয় ফরোয়ার্ড লউতারো মার্তিনেস। ইভান পেরিসিচের নিখুঁত ক্রস তিনি কাজে লাগাতে পারেননি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নকআউট পর্বে শুরুটা ভাল হল না বায়ার্ন মিউনিখের। ছ’বারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব বুধবার রেডবুল সালজ়বুর্গের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট নিশ্চিত করল ৯০ মিনিটে কিংসলে কোমানের গোলে সমতা ফিরিয়ে।
বিপক্ষের মাঠে ২১ মিনিটেই ০-১ পিছিয়ে যান রবার্ট লেয়নডস্কিরা। সরাসরি কর্নার থেকে বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করে দেন চুকুবুইকি অ্যাডামু। প্রথমার্ধে রেডবুল আরও দু’বার গোল করে দিচ্ছিল। একবার করিম আদেমির শট ঝাঁপিয়ে বাঁচান বায়ার্ন গোলরক্ষক। অ্যামুর দ্বিতীয় প্রচেষ্টা বিফলে যায় বায়ার্ন রক্ষণ গোল লাইন থেকে বল বিপন্মুক্ত করলে।
অস্ট্রীয় বুন্দেশলিগার অন্যতম সেরা ক্লাব রেডবুল এ বারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নকআউটে উঠেছে। নিজেদের মাঠে প্রচুর জনসমর্থন পেয়ে বায়ার্নের মতো দলের বিরুদ্ধেও তারা নজরকাড়া ফুটবল খেলল। পাশাপাশি লেয়নডস্কিদের খেলায় প্রত্যাশিত ছন্দ ছিল না। অস্ট্রিয়ায় খেলতে যাওয়ার আগে ঘরোয়া লিগে বোখুমের কাছে ২-৪ হারের রেশ যেন কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ভাল খেলেছে। শেষরক্ষা ৯০ মিনিটে। থোমাস মুলারের পাস থেকে ফরাসি উইঙ্গার কোমান গোল শোধ করায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy