দলের ভিতরের কথা প্রকাশ্য়ে আনলেন গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র
ভারতের হয়ে ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৯৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন গৌতম গম্ভীর। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার এ বার দলের গোপন কথা প্রকাশ করলেন। জানালেন, বিশ্বকাপ চলাকালীন দলের কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার তাঁকে কী বলেছিলেন!
সংবাদমাধ্যমে গম্ভীর বলেন, ‘‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের আগে দু-তিন জন সিনিয়র ক্রিকেটার আমাকে এসে বলেছিল, আমাদের এই বিশ্বকাপ জিততেই হবে। কারণ, ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা বন্ধ করতে হবে। এই আলোচনা বরাবরের মতো শেষ করে দিতে হবে।’’
সিনিয়র ক্রিকেটারদের এই কথা মেনে নিতে পারেননি গম্ভীর। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন তিনি। গম্ভীর বলেন, ‘‘আমি বলেছিলাম, আমি কিছু শেষ করতে আসিনি। আমি বিশ্বকাপ জিততে এসেছি আমাদের কেরিয়ার আরও দীর্ঘ করতে। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ীদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনা হয়। আমরা আলোচনা করি না। তা হলে আমি কেন সেটা বন্ধ করতে যাব? আমি দেশের মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য বিশ্বকাপ জিততে চাই।’’
ভারতীয় দলের সাজঘর নিয়েও সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গম্ভীর। ধোনি ও কোহলীকে ‘দৈত্যে’র সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। গম্ভীর বলেছেন, ‘‘দয়া করে সাজঘরে ধোনি ও কোহলীর মতো দৈত্য তৈরি করবেন না। কোনও ব্যক্তি নয়, ভারতীয় ক্রিকেটই একমাত্র দৈত্য। এটা সবার মনে রাখা উচিত।’’ গম্ভীরের মতে, ভারতীয় ক্রিকেটে এক জন বা দু’জন ক্রিকেটারকে পুজো করার যে রীতি রয়েছে তার জন্য অন্য ক্রিকেটাররা উঠে আসতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘‘এক জন বা দু’জন ক্রিকেটারের ছায়ায় বাকিরা উঠে আসতে পারছে না। আগে ধোনি ছিল। এখন কোহলী। বাকিরা কোথায়?’’
ভারতীয় ক্রিকেটে ব্যক্তি পুজো থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন গম্ভীর। তা হলে অনেক ছোট শহর থেকে আরও বেশি ক্রিকেটার উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গম্ভীর বলেন, ‘‘ক্রিকেটাররা বা বিসিসিআই এক জন কাউকে মাথায় তোলে না। এটা করে নেটমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম ও সম্প্রচারকারী চ্যানেল। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সবাইকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। তা হলে আরও অনেক ক্রিকেটার উঠে আসবে। তাতে আখেরে ভারতীয় ক্রিকেটেরই লাভ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy