উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনের দু’দিন পরে পুলিশের প্রথম গ্রেফতারি। ধৃতের নাম অক্ষয় গণ। তাঁকে পাকড়াও করার সঙ্গে সঙ্গে আরও চার জনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। বস্তুত, শনিবারই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের বদল হয়েছে। অলোক রাজোরিয়ার জায়গায় দ্বিতীয় বার ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার হয়েছেন অজয় ঠাকুর। পুলিশ সূত্রে খবর, দায়িত্ব পেয়ে শনিবার রাতেই নৈহাটি থানায় হাজির হয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার অজয়। তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদব খুনের তদন্ত কত দূর এগিয়েছে, অভিযুক্তদের কেউ কেন এখনও ধরা পড়েননি, এ নিয়ে কৈফিয়ত চান কমিশনার। রাতেই খুনে অভিযুক্তদের খোঁজ চলছিল। তার পরে এই গ্রেফতারি এবং আটকের খবর মিলেছে।
জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কর্মী খুনে পুলিশ মোট চার জনকে আটক করেছিল। পরে আরও এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। রাতভোর তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ মূল অভিযুক্তদের ধরতে না-পারলেও যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে সন্তোষ-খুনের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
শুক্রবার দুপুরে নৈহাটির গৌরীপুর এলাকায় গুলি চলে। টোটো নিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন ৩৫ বছরের সন্তোষ। তৃণমূলের দাবি, সন্তোষ তাদের সক্রিয় কর্মী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সন্তোষকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন:
ওই ঘটনার পর রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গৌরীপুর এলাকা। ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক অভিযোগ করেন, খুনের নেপথ্যে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠদের হাত রয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে অর্জুন পাল্টা জানান, যে ব্যক্তির নাম করছেন তৃণমূল সাংসদ, তাঁর উপরেই কিছু দিন আগে হামলা হয়। এই রাজনৈতিক শোরগোলের মধ্যে শনিবার নবান্নের নির্দেশে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে অলোককে সরিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের ডিজির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার করে আনা হয় অজয়কে। তিনি এর আগে কারা বিভাগের ডিআইজি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তা ছাড়া এর আগে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) ছিলেন অজয়। কিছু দিন কমিশনারের দায়িত্বও সামলেছেন ওই আইপিএস অফিসার। তৃণমূল কর্মী খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কমিশনারের বদল ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হয়।