প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার পর থেকে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। আগুন লাগা, পদপিষ্টের মতো ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের বিরুদ্ধে মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করেছে। পর পর দু’টি বড় ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার আরও সতর্ক প্রশাসন।
সোমবার বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে ‘অমৃত স্নান’। স্বাভাবিক ভাবেই ভিড়ের পরিমাণ বহু গুণ বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে যাতে আরও এক বার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যাতে অভিযোগের আঙুল না ওঠে, তাই প্রশাসনকে আরও বেশি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। ব্যবস্থাপনায় কোনও রকম ‘ভুলচুক’ যাতে না হয় তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার প্রয়াগরাজে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে প্রথা মেনে আখড়াগুলির শোভাযাত্রা হয়, সে ভাবেই হবে। তবে সেই ব্যবস্থা সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। এই বৈঠকে বিশেষ করে নিরাপত্তার বিষয়টির উপর আলোকপাত করা হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, পার্কিংয়ের জায়গা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে যে, সঙ্গমস্থলে যাওয়ার জন্য পুণ্যার্থীদের যেন বেশি হাঁটতে না হয়। ট্র্যাফিক ব্যবস্থা মসৃণ রাখতে শীর্ষকর্তাদের মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করেছেন, বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে রবি এবং সোমবার পুণ্যার্থীদের ভিড় অনেক বেশি থাকবে। ‘অমৃত স্নান’-এর দিন তো বটেই, ওই দিনের আগে এবং পরে ভিআইপিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার বসন্ত পঞ্চমীতে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং ‘অমৃত স্নান’ সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কী ভাবে, কোন পথে পুণ্যার্থী যাবেন, কোন পথ এড়িয়ে চলবেন— সব কিছুর নির্দেশিকা যেন স্পষ্ট ভাবে দেওয়া থাকে, এই বিষয়টি দেখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি ‘মৌনী অমাবস্যা’ উপলক্ষে ‘অমৃত স্নান’-এর আগে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে কুম্ভে। সেই ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি। তার আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৫০টি তাঁবু পুড়ে গিয়েছিল। যদিও সেই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে এই দু’টি ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও বেশি সতর্ক পদক্ষেপ করতে চাইছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।