রাহুল দ্রাবিড়। — ফাইল চিত্র
বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে হারের পর কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের আসন টলোমলো। অনেকেরই আশঙ্কা, বিশ্বকাপের পরে দ্রাবিড়কে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় দলকে কোনও ট্রফি দিতে পারেননি দ্রাবিড়। বিশ্বকাপেও যদি ব্যর্থ হয় ভারতীয় দল, তা হলে সবার আগে কোপ পড়তে পারে দ্রাবিড়ের উপরেই।
প্রাক্তন সতীর্থ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ড সভাপতি থাকাকালীন দ্রাবিড়কে কোচ করে এনেছিলেন। এখন বোর্ডে সৌরভ নেই। ফলে দ্রাবিড়ের হয়ে কথা বলার মতোও কেউ নেই। পাশাপাশি অনেকের ধারণা, জুনিয়র ক্রিকেটারদের সামলাতে দ্রাবিড় যতটা দক্ষ, সিনিয়রদের বেলায় সেটা নেই। তাঁর দল নিয়ন্ত্রণ এবং অতি শান্ত মনোভাব আখেরে ক্ষতি করছে। যদি দ্রাবিড়কে সরিয়ে দেওয়া হয় তা হলে কে হতে পারেন ভারতের কোচ। আনন্দবাজার অনলাইন আলোচনা করল পাঁচ জন সম্ভাব্য প্রার্থীকে নিয়ে:
আশিস নেহরা: কোচিং জগতে পরীক্ষিত। গুজরাত টাইটান্সকে এক বার আইপিএল জিতিয়েছেন, এক বার রানার্স-আপ করেছেন। সব থেকে বড় কথা, ক্রিকেটারদের সঙ্গে খুবই ভাল সম্পর্ক রাখতে পারেন নেহরা। তাঁর সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশা যায়। যে কোনও বিষয়ে কথা বলা যায়। গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য একাধিক বার সে কথা বলেছেন। যদি বিসিসিআই দ্বৈত কোচের কথা ভাবে, তা হলে চোখ বুজে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নেহরার হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া যেতে পারে।
স্টিফেন ফ্লেমিং: প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চেন্নাই সুপার কিংসের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। দল পাঁচটি আইপিএল ট্রফি জিতেছে তাঁর অধীনে। দলের ক্রিকেটারদের থেকে সেরাটা বার করে আনতে তাঁর জুড়ি নেই। আগ্রাসন এবং শান্ত, দু’রকম মনোভাব নিয়েই দলকে চালনা করতে পারেন।
জাস্টিন ল্যাঙ্গার: ক্রিকেটীয় পরিভাষায় কড়া ‘টাস্কমাস্টার’। দলকে শৃঙ্খলার জালে বেঁধে রাখতে ভালবাসেন। আবার অতি শৃঙ্খলা দেখাতে গিয়ে ক্ষতিও করেননি। তাঁর অধীনে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২১-২২ সালের অ্যাশেজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। যে মনোভাব নিয়ে খেলেছেন, কোচিংও সে ভাবেই করান। তাঁর অধীনে ভারতের সেই পুরনো আগ্রাসী খেলা আবার দেখা যেতে পারে।
রিকি পন্টিং: ক্রিকেটার এবং কোচ হিসাবে সবচেয়ে বেশি আইসিসি ট্রফি জিতেছেন তিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলও জিতেছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ফাইনালে তুলেছেন। হয়তো দিল্লির কোচ হিসাবে পরের মরসুমে তাঁকে দেখা যাবে না। ভারতের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে হয়তো তিনি ফিরিয়ে দেবেন না।
গৌতম গম্ভীর: লখনউ সুপার জায়ান্টসের কোচ হিসাবে দু’বারই দলকে প্লে-অফে তুলেছেন। কোচ হিসাবে বিরাট অভিজ্ঞতা হয়তো তাঁর নেই। কিন্তু খেলার প্রতি জ্ঞান এবং দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে অনেকের থেকে এগিয়ে রাখবে। একটি জিনিসই বিপক্ষে যেতে পারে, তা হল তাঁর মানসিকতা। অকারণে রেগে যাওয়া এবং কিছু আচরণ তাঁর বিপক্ষে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy