গোলের পর উচ্ছ্বাস রবি হাঁসদার। ছবি: এআইএফএফ।
ফুটবলে আবার ভারতসেরা বাংলা। ছ’বছর পর সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন। এই নিয়ে ৩৩ বার ট্রফি এল বাংলায়।
২০১৭-১৮ এবং ২০২১-২২ মরসুমে সন্তোষ ট্রফি ফাইনালে কেরলের কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলা। দু’বারই টাইব্রেকারে হারতে হয় বাংলাকে। এ বার সেই কেরলকে হারিয়েই ৩৩তম বার চ্যাম্পিয়ন হল সঞ্জয় সেনের দল। ২০১৬-১৭ মরসুমের পর আবার ফুটবলে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা। কোভিডের জন্য দু’বছর প্রতিযোগিতা হয়নি। সেই হিসাবে ছ’বছর পর চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা। মঙ্গলবার ফাইনালে কেরলকে ১-০ গোলে হারাল বাংলা। সঞ্জয়ের দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি ৯০+৪ মিনিটে রবি হাঁসদার। প্রতিযোগিতায় ১২টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছেন তিনি।
শক্তিশালী কেরলের বিরুদ্ধে ঘর সামলে আক্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করে দল নামিয়েছিলেন বাংলার কোচ। সেই মতো হায়দরাবাদের বালাযোগী স্টেডিয়ামে শুরু থেকে প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলেন চাকু মান্ডি, শেখ আবুসুফিয়ানেরা। খেলা গড়ানোর সঙ্গে ধীরে ধীরে মাঝমাঠের দখল নিতে শুরু করেন তাঁরা। মাটিতে বল রেখে নিজেদের মধ্যে পাস খেলার চেষ্টা করেছেন বাংলার ফুটবলারেরা। বলের নিয়ন্ত্রণ অধিকাংশ সময় নিজেদের পায়ে রাখলেও কেরলের রক্ষণ ভাঙতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বাংলার ফুটবলারদের। প্রথমার্ধে গোলের তেমন সুযোগ পায়নি কেরলও। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথম ৪৫ মিনিটের লড়াই।
দু’দলের স্ট্রাইকারেরাই প্রতিপক্ষ বক্সের মধ্যে গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেননি। কাজে আসেনি সেটপিস মুভমেন্টও। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন চাকু। কিন্তু কেরলের ক্রিস্টি ডেডিসের গায়ে লেগে বল চলে যায় বাইরে। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্ত সময়ের ৪ মিনিটে বাংলার পক্ষে গোল করেন রবি। যদিও আরও আগেই গোল পাওয়া উচিত ছিল বাংলার। এর পর আর কেরলের তেমন কিছু করার ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে ৬ মিনিট সংযুক্ত সময় দেওয়া হলেও রেফারি প্রায় ১২ মিনিট খেলান। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
সন্তোষ ট্রফি জয় এবং প্রতীক্ষার অবসানের জন্য বাংলা দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভবিষ্যতের জন্যও। বাংলা দলের সঙ্গে যুক্ত সকলকে জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের ছ’জন ফুটবলার ছিলেন এ বারের বাংলা দলে। তাঁদের মধ্যে চার জন মঙ্গলবার ফাইনালে প্রথম একাদশে ছিলেন। সে কথাও অভিনন্দন বার্তায় উল্লেখ করেছেন অভিষেক।এই সাফল্যের জন্য বাংলার কোচ, ফুটবলার এবং ফুটবল কর্তাদের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy