পথদুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন বাবা এবং নাবালক পুত্র। গুরুতর জখম হয়ে মা এবং কন্যা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে। মঙ্গলবার বছর শেষ দিন বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া-মেচেদা ১১৬বি জাতীয় সড়কের নিমতৌড়ির ঘটনায়। পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তার সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্কুটির পিছনে ধাক্কা দেয় বেপরোয়া ট্রাক। তার জেরে ঘটনাস্থলেই স্কুটিচালক ধনঞ্জয় সামন্ত ও তাঁর পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রী বনশ্রী এবং আর তাঁদের এক সন্তান গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে।
নন্দকুমার থেকে নিমতৌড়ির দিকে স্কুটি করে যাচ্ছিলেন ধনঞ্জয়। স্কুটির পিছনে আসনে বসে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তান। নিমতৌড়ি ক্রসিংয়ে সিগন্যাল লাল দেখে স্কুটি থামিয়ে দেন যুবক। তখনই সিগন্যাল না-মানা একটি লরি দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা দেয় ধনঞ্জয়ের স্কুটিতে। তাতেও গতি-না কমিয়ে এগিয়ে চলে লরিটি। লরির তলায় ঢুকে যান স্কুটির চালক এবং তাঁর পুত্র। ধনঞ্জয়ের স্ত্রীর পায়ের উপর দিয়ে লরির চাকা চলে যায়। তাঁর কোলে থাকা শিশুও গুরুতর জখম হয়। ঘটনাস্থলে থাকা ট্র্যাফিক পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘাতক লরিটিকে আটক করে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান লক্ষ্মণচন্দ্র দাস জানান, সিগন্যাল লাল দেখেও একটি লরি দাঁড়ায়নি। লরির তলায় পড়ে বাবা এবং ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘কী ভাবে এই দুর্ঘটনা হল, তা পুলিশকে তদন্ত করে দেখার আবেদন জানিয়েছি।’’ এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই স্থানে মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা হয়।