(ছবি সৌজন্য: পৌলমী মল্লিক কুণ্ডু)
কোনও মোগলাই রেস্তোরাঁয় খেতে যাবেন আর বিরিয়ানি খাবেন না তা কি হয়? তবে সঙ্গে রেজালা বা চাঁপ খাওয়াটাই আলসে দস্তুর। তাই আপনাদের জন্য আজ থাকছে মাটন রেজালার রেসিপি। আজ রাতে রুটি বা পরোটার সঙ্গে মাটন রেজালা বানিয়ে দেখবেন না কি?
উপকরণ:
মাটন— ৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজ— ২টি
আদা— এক টুকরো (২ ইঞ্চি)
রসুন— ৫-৬ কোয়া
টক দই— এক কাপ
গোলাপ জল— ১ চা চামচ
কেওড়া জল— ১ চামচ
মিঠে আতর— কয়েক ফোঁটা
দারুচিনি— দু’টুকরো (২ ইঞ্চি মাপের)
লবঙ্গ— ৩-৪টি
তেজপাতা— ২-৩টি
এলাচ— ৩-৪টি
গোটা গোলমরিচ— ৫-৬টি
শুকনো লঙ্কা— ৩-৪টি
চিনি— ১ টেবিল চামচ
দুধ— আধ কাপ
নুন— স্বাদ মতো
তেল— এক কাপ
ঘি— ৩ টেবিল চামচ
প্রণালী:
প্রথমে শুকনো খোলায় এক টুকরো দারুচিনি, ২টি লবঙ্গ, ২টি এলাচ ও ৩টি গোলমরিচ ভেজে নিন। এ বার ভাজা গোটা মশলা শিলে পিষে গুঁড়িয়ে নিন। একটি পেঁয়াজ, আদা, রসুন বেটে রাখুন। একটি বাটিতে টক দই ফেটিয়ে নিন ভাল করে। তাতে গোলাপ জল, পেঁয়াজ বাটা, অল্প আদা ও রসুন বাটা, অর্ধেক ভাজা মশলা মিশিয়ে নিন। মাঝারি সাইজের কেটে রাখা মাটনের টুকরো ওই দইয়ে মিশিয়ে অন্তত আট ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। প্রেশার কুকারে তেল গরম করুন। তাতে ঘি দিন। এর পর তেজপাতা, গোটা গোলমরিচ, শুকনো লঙ্কা, বাকি গোটা মশলা ও চিনি ফোড়ন দিন। তাতে একটি পেঁয়াজ কুচি, বাকি আদা-রসুন বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। তাতে ম্যারিনেট করে রাখা মাংসের টুকরো দিয়ে নাড়তে থাকুন। নুন, ম্যারিনেট করা মশলা ও বাকি ভাজা মশলা দিয়ে দিন। হাল্কা নেড়ে চেড়ে এক কাপ জল দিয়ে চাপা দিন। ৩টি হুইস্ল বাজলে ঢাকা খুলুন। এক কাপ দুধে কেওড়া জল, মিঠে আতর মেশান। সেই দুধ এ বার মাংসের মধ্যে দিয়ে মিনিট দশেক ফুটতে দিন। মাংস ফুটে তেল ছেড়ে এলে নামিয়ে নিন। রুটি বা নানের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন মাটন রেজালা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy