(ছবি সৌজন্য: পৌলমী মল্লিক কুণ্ডু)
যদিও এটা বর্ষাকাল, কিন্তু ঝেঁপে বৃষ্টির দেখা আর মিলছিল কই— কিন্তু আঝ যেই না আকাশ কালো করে ঝমঝমিয়ে নামল, তাহলে কি আর থেমে থাকা যায়— বর্ষার সুরে তাল মিলিয়ে যদি বাড়িতে রাঁধা ভুনা খিচুড়ি দিয়েই শুরু করা যায় বিলাসযাপন! সঙ্গে থাকুক প্রাণের দোসর ইলিশ ভাজা।
উপকরণ:
সোনামুগ ডাল— আধ কাপ
গোবিন্দভোগ চাল— আধ কাপ
আলু— ৩টি
পেঁয়াজ— ১টি (ছোট)
আদা— এক টুকরো (১ ইঞ্চি মাপের)
কড়াইশুঁটি— এক মুঠো
কাঁচা লঙ্কা— ৩-৪টি
শুকনো লঙ্কা— ৩টি
হলুদ গুঁড়ো— আধ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো— আধ চা চামচ
ছোট এলাচ— ৪-৫টি
দারুচিনি— এক টুকরো
তেজ পাতা— ২টি
গরমমশলা গুঁড়ো— ১ চা চামচ
জায়ফল গুঁড়ো— ১/৪ চা চামচ
জয়িত্রী গুঁড়ো— ১/৪ চা চামচ
ভাজা জিরে গুঁড়ো— আধ চা চামচ
ভাজা ধনে গুঁড়ো— আধ চামচ
নুন— স্বাদ মতো
চিনি— সামান্য
ঘি— ৪ টেবিল চামচ
সরষের তেল— আধ কাপ
প্রণালী:
শুকনো খোলায় সোনামুগ ডাল হাল্কা লালচে করে ভেজে তুলে নিন। গোবিন্দভোগ চাল ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন। পেঁয়াজ ঝিরিঝিরি করে কেটে নিন। আদা বেটে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে আলুর টুকরো ভেজে তুলে নিন। প্রেশার কুকারে ৩ টেবিল চামচ ঘি গরম করে তেজ পাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে, এলাচ ও দারুচিনি ফোড়ন দিন। তাতে একে একে পেঁয়াজ কুচি, চেরা কাঁচা লঙ্কা, আদা বাটা দিন। সামান্য নুন দিয়ে নাড়তে থাকুন। তার পর এতে একে একে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, চিনি দিয়ে নাড়ুন। ডাল, ভেজে রাখা আলু ও কড়াইশুঁটি দিয়ে আরও এক বার নেড়ে নিন। এ বার তাতে জল ধরিয়ে রাখা চাল দিন। স্বাদ মতো চিনি, ভাজা জিরে গুঁড়ো, ভাজা ধনে গুঁড়ো, জায়ফল গুঁড়ো, জয়িত্রী গুঁড়ো, আধ চামচ গরম মশলা দিন। সমস্ত কিছু ভাল করে নেড়ে জল দিয়ে প্রেশার কুকার বন্ধ করুন। তিনটি হুইস্ল বেজে গেলে আর জল শুকিয়ে এলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলুন। বাকি গরমমশলা গুঁড়ো ও খানিকটা ঘি দিয়ে চাপা দিন। মিনিট দশেক পরে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ভুনা খিচুড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy