বিশ্বে বাড়ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার। সেই সঙ্গেই বাড়ছে ভয় আর এই রোগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মিথ। ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও ভয় দূর করতে অক্টোবর মাসকে বিশ্বে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়। এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পালিত হয় ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা সপ্তাহ হিসেবে। দেখে নেওয়া যাক ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ, রিস্ক ফ্যাক্টর ও মিথগুলো।
কারণ-
ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ হিসেবে প্রচলিত রয়েছে বেশ কিছু মিথ। কখনও ব্রা-কে দায়ী করা হয়েছে ব্রেস্ট ক্যানসারের কারণ হিসবে, কখনও বা মাইক্রোওভকে। তবে চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন এই সব মিথের কোনওটাই ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। ঠিক কী কারণে ব্রেস্ট ক্যানসার হয় তার কারণ এখনও খুঁজছেন চিকিত্সকরা। ন্যাশনাল ব্রেস্ট ক্যানসারের তথ্য অনুযায়ী কোষের ডিএনএ-র গঠন ভেঙে যাওয়ার ফলেই ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন মহিলারা।
রিস্ক ফ্যাক্টর-
অনেক সময় শোনা যায় ওজন বেশি হলে বা ভারী স্তনের মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গর্ভপাত বা ব্রেস্ট ইমপ্লান্টকেও অনেক সময় দায়ী করা হয়। তবে চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন এর কোনওটাই ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এক মাত্র পরিবারে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ইতিহাসই রিস্ক ফ্যাক্টর বলে প্রমাণ পেয়েছেন চিকিত্সকরা। ফ্যামিলি হিস্ট্রি মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা পাঁচ থেকে দশ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
কিছু মিথ-
১। কফি বেশি খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়
২। ডিওডরান্ট থেকে হতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সার
৩। মাইক্রোওয়েভ হতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ
৪। অতিরিক্ত সেল ফোন ব্যবহার করলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়
৫। ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা
৬। ব্রা থেকে ছড়ায় ব্রেস্ট ক্যান্সার
৭। কৃত্রিম ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট বাড়ায় ঝুঁকি
৮। হেয়ার স্ট্রেটনার থেকে হতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy