মোহরের মাছ খাওয়ার নানা ঝামেলা। আর ডাল খেতেও চায় না মোটেও। রাতের দিকে ওর রুটি খাওয়ার ঝামেলা বিস্তর। তাই ওর মা এক রাতে ডাল আর মাছ একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করেছিলেন নতুন একটি পদের। মোহর তো চেয়েপুটে খেয়েছিলই, গোটা শ্বশুরবাড়ির প্রভূত প্রশংসায় খুশি হয়েছিল মোহরের মা মহুল নিজেও। এই পদে ডাল আর মাছ একসঙ্গে থাকে বলে দুটো আলাদা আলাদা পদ রান্না করার ঝামেলাটা কমে যায় অনেকটা। অথচ ডাল কিংবা মাছ— দুটো উপকরণই খাওয়া হয়ে যায় একই সঙ্গে। তাই আজ দেখে নিন সেই ডাল-মাছের রেসিপি।
উপকরণ:
সোনা মুগ ডাল— ১ কাপ
কাতলা মাছ— ৬ টুকরো
পেঁয়াজ— ১টি
টোম্যাটো— ১টি
গোটা গরমমশলা— ১ টেবিল চামচ
তেজপাতা— ২-৩টি
ধনে গুঁড়ো— ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো— ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো— ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো— ১ চা চামচ
গরমমশলা গুঁড়ো— ১ চা চামচ
ধনে পাতা কুচি— আধ মুঠো
ঘি— ৩ টেবিল চামচ
তেল— আধ কাপ
নুন— স্বাদ মতো
চিনি— এক চিমটে
প্রণালী:
মাছ ভাল করে ধুয়ে নুন ও হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কডা়ইয়ে সরষের তেল গরম করে মাছ লালচে করে ভেজে তুলে নিন। সোনা মুগ ডাল শুকনো খোলায় ভাজতে থাকুন। হাল্কা লালচে রং ধরতে শুরু কতরলে ডাল নামিয়ে নিন। সামান্য নুন ও হলুদ দিয়ে এ বার ডাল সেদ্ধ করে নামিয়ে রাখুন। কড়াইয়ে ঘি গরম করে তেজপাতা ও গোটা গরমমশলা ফোড়নি দিন। তাতে পেঁয়াজ কুচি ও টোম্যাটো কুচি দিয়ে ভাজুন। সামান্য চিনি ও স্বাদ মতো নুন দিন। পেঁয়াজ-টোম্যাটো ভাজা ভাজা হয়ে একে একে ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিন। তাতে এ বার সেদ্ধ করে রাখা ডাল দিয়ে দিন। ডাল ভাল করে নেড়ে আলতো করে ভেজে রাখা মাছ ছেড়ে দিন। ডাল ফুটতে শুরু করলে গরমমশলা দিন। ভাল করে নেড়ে চেড়ে নুন-মিশ্টি চেখে নিয়ে উপর থেকে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন ডাল-মাছ। হাতে গড়া পাতলা রুটির সঙ্গে ডাল-মাছ পরিবেশন করুন গরম গরম।
(ছবি সৌজন্য: পৌলমী মল্লিক কুণ্ডু)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy