এ অনেকটা হাঁসজারুর মত ব্যাপার স্যাপার। তবে কবিতার বইয়ের ছাপার অক্ষরে নয়, এক্কেবারে বাস্তবের। এবার গবেষণাগারেই জিনে কারসাজি করে ডাইনোসরের মত পা-ওয়ালা জ্যান্ত মুরগির ছানা তৈরি করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা।
ডাইনোসর এবং পাখিদের মধ্যে বিবর্তনের যোগসূত্র বোঝাতেই এই ‘মুরনোসর (মুরগি+ডাইনোসর)’ জাতীয় প্রাণী তৈরির ভাবনা আসে বিজ্ঞানীদের মাথায়।
ডাইনোসরদের পায়ের টিউব আকৃতির ফিমার হাড়টি গোড়ালি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ডাইনোসর থেকে পাখিদের বিবর্তনের পথে ফিমার হাড়টি শেষ অংশ ছোট হতে হতে আর গোড়ালিকে ছুঁতে পারে না। পাখির ঠ্যাং-এ টিবিয়া এখন দৈর্ঘ্যের দৌড়ে হারিয়ে দিয়েছে ফিবুলাকে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে কোনও পাখির ভ্রূণে ডাইনোসরের মত টিউব আকৃতির ফিবুলাই প্রাথমিকভাবে তৈরি হয়। এরপরে ভ্রূণ যত পরিণত হতে থাকে তত ছোট হতে থাকে ফিবুলা, বড় হতে থাকে টিবিয়া। ডিম ফুটে পাখির যে ছানা বেড়িয়ে আসে তার ফিবুলাটা অনেক ছোট স্পিল্নটার আকৃতির হয়।
চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রাজিলিয়ান গবেষক জোয়াও বোতেলহো এই রূপান্তরের পথ আর জেনেটিক কারণটা আবিষ্কার করে ফেলেছেন।
তিনি জানাচ্ছেন, ইন্ডিয়ান হেডহগ নামের একটি জিনের জন্য ভ্রূণের বৃদ্ধির একে বারে প্রাথমিক দশায় ফিবুলার শেষে কোষ বিভাজন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, বন্ধ হয়ে যায় ফিবুলার বৃদ্ধিও।
মুরগির ভ্রূণে এই জিনটাকেই অকেজো করে টিউব আকৃতির ফিবুলাকে বাড়তে দিয়েছেন গবেষকরা।ফলে ডিম ফুটে যে মুরগির ছানা বেড়িয়েছে, তার ঠ্যাং-গুলোও হয়েছে ডাইনোসরের মত, যার ফিবুলাটা গোড়ালি পর্যন্ত বিস্তৃত।
এই গবেষণাপত্রটি ইভোলিউশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-ঘুমিয়ে পড়া স্মৃতিও এ বার ফেরানো যাবে বিজ্ঞানের ‘জিয়নকাঠি’তে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy