মিল্কি ওয়ের যেখানে জন্মাচ্ছে নতুন নতুন নক্ষত্র। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
ব্রহ্মাণ্ডে আমাদের ঠিকানা যেখানে, সেই ‘মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি’ এখনও হাজার হাজার নতুন নক্ষত্রের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে।
কে বলবে, চারশো কোটি বছর আগে ব্রহ্মাণ্ড-সৃষ্টির পরপরই জন্ম হয়েছিল মহাবিশ্বে আমাদের ঠিকানা মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির?
একেবারেই হালে মিল্কি ওয়ের ঠিক মাঝখানে সেই ‘দুগ্ধপোষ্য’ নতুন নতুন নক্ষত্রদের খোঁজ পেয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
একটা-দু’টো নতুন নক্ষত্র নয়। মৌমাছি যে ভাবে মৌচাক ঘিরে বসে থাকে, ঠিক সেই রকম। মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির ঠিক মাঝখানে একটা চাকতি ঘিরে রয়েছে এক ঝাঁক নতুন নক্ষত্র। তাদের সকলেই হয় আমাদের সূর্যের সমান বা তার চেয়ে কয়েকশো গুণ বড়।
এই আবিষ্কারের খবরটি হালে প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল ‘অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল লেটার্সে’।
এই আবিষ্কারের অভিনবত্ব কোথায়?
এত দিন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ভাবতেন, আমাদের ছায়াপথে নতুন কোনও ‘পড়শি’ আর আসবে না। যারা মিল্কি ওয়ের ‘বাসিন্দা’, তারা কয়েকশো কোটি বছর ধরেই রয়েছে। সেই ‘বাসিন্দা’দের সকলকে আমরা এখনও চিনে উঠতে না পারি। কিন্তু তারা সকলেই আমাদের ছায়াপথের বহু পুরনো ‘বাসিন্দা’। নতুন আবিষ্কার সেই ধারণার মর্মমূলেই ঘা দিল।
নাসা-র গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী দাঁতে মিনিত্তি বলেছেন, ‘‘মিল্কি ওয়ের মাঝখানের এলাকায় সদ্যোজাত এমন ৩৫টি নক্ষত্রের হদিশ মিলেছে। যাদের বয়স বড়জোর দশ কোটি বছর। মানে, যাদের চেয়ে পৃথিবীর বয়স কুড়ি বা পঁচিশ গুণ বেশি। ওই নক্ষত্রদের মধ্যে যে ‘তরুণতম’, তার বয়স আড়াই কোটি বছরের বেশি নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy