যাহ্, সব হল। কিন্তু টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয়টাই দেখা হল না। এত্ত কুয়াশা!
ভ্রমণপিপাসুদের জীবনে এমন বিস্তর আক্ষেপ রয়েছে। এ বার বোধ হয় সব আক্ষেপ মিটতে চলেছে। হোটেল খুলছে মহাকাশে। যেখান থেকে দিব্যি আরামে দিনে ১৬ বার সূর্যের ওঠা-নামা দেখতে পারবেন অতিথিরা। সঙ্গে বাড়তি পাওনা ‘মাধ্যাকর্ষণহীন’ ভাবে ভেসে থাকা। আর উঁকি দিয়ে টুক করে যখন খুশি দেখে নেওয়া সাধের পৃথিবীটাকে।
২০২২-এই আসছে ‘অরোরা স্টেশন’ নামের এই বিলাসবহুল হোটেল। সৌজন্যে আমেরিকার মহাকাশ প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্টার্টআপ সংস্থা ‘অরিয়ন স্প্যান’। অর্থাৎ, এখনও চার বছরের অপেক্ষা। বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসের এক সম্মেলনে সংস্থাটি যদিও জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে সেই হোটেলের। ১২ দিনের সফর। এক-এক দফায় ৪ জনের বেশি নয়। হোটেলটিতে ২ জন করে উড়ান-কর্মীও থাকবেন বলে খবর।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ফ্র্যাঙ্ক বাংগারের দাবি, বিশ্ববাসীকে যথাসম্ভব কম খরচে মহাকাশ ভ্রমণ করানোটাই তাঁদের লক্ষ্য। আর সেই ‘সুলভ’ মূল্য আপাতত ঠিক হয়েছে— ৯০ লক্ষ ডলার। অর্থাৎ ভারত থেকে কেউ গিয়ে ১২ দিনের জন্য ওই হোটেলে থাকতে চাইলে, তাঁকে গুণতে হবে প্রায় ৫৯ কোটি টাকা! থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। বুকিং শুরু হয়েছে ৮০ হাজার ডলার দিয়ে। বিফলে মূল্য ফেরতের ব্যবস্থাও পাকা।
তবে যাওয়ার আগে অন্তত মাস তিনেকের একটি মহাকাশ অভিযানের কোর্স করতে হবে আপনাকে। মহাকাশচারীদের জন্য যেখানে টানা ২৪ মাসের প্রশিক্ষণ লাগে, এ বার তাতেও ছাড়! অরিয়নই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। সংস্থাটি জানিয়েছে, হোটেলে সর্বক্ষণের জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট থাকবে। বিনামূল্যে। যার মানে, চাইলেই আপনি পৃথিবীতে রেখে আসা আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে ভিডিয়ো-কলে কথা বলতে পারবেন। আর পৃথিবীতে ফেরার পরে জুটবে বিশেষ সম্মান।
ব্যক্তিগত খরচে মহাকাশ ভ্রমণ অবশ্য আগেও হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৯-এর মধ্যে অন্তত সাত জন ঘুরে বেড়িয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে। তবে তাতে এক-এক জনের ২ থেকে ৪ কোটি ডলার পর্যন্ত খরচ হয়েছে। সেই হিসেবে ১২ দিনের এই ঘোষিত প্যাকেজ সস্তাই!
প্রস্তাবিত ‘অরোরা স্টেশন’-এর মাপ ৩৫/১৪ ফুট। তবে চাহিদা মতো আগামী দিনে এই হোটেলের আয়তন আরও বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছে ‘অরিয়ন স্প্যান’। শোনা যাচ্ছে, মহাকাশে হোটেল ব্যবসায় নামতে চাইছে আরও কয়েকটি সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy