Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Chandrayaan-2

হলিউডি ছবির থেকেও কম খরচে চন্দ্রযান-২!

সব মিলিয়ে দ্বিতীয় বার ইতিহাস ছোঁয়ার জন্য ইসরোর খরচ হবে কম-বেশি ৮০০ কোটি টাকা!

চন্দ্রযান-২। ছবি সৌজন্যে: ইসরো।

চন্দ্রযান-২। ছবি সৌজন্যে: ইসরো।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:৫৩
Share: Save:

আর মাত্র দু’-এক মাস। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মার্চ, এপ্রিলেই হবে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান।

ওই অভিযানে চাঁদের কক্ষপথে ঘোরার জন্য থাকবে একটি অরবিটার মহাকাশযান। আর তার সঙ্গে থাকবে চাঁদের মাটিতে নামার জন্য একটি ‘ল্যান্ডার’ ও চাঁদের মাটিতে নেমে ঘোরাফেরার জন্য থাকবে একটি ‘রোভার’ ও। ‘জিএসএলভি-এমকে-টু’ রকেটে চাপিয়ে ‘চন্দ্রযান-২’কে পাঠানো হবে চাঁদের দেশে।

সব মিলিয়ে দ্বিতীয় বার ইতিহাস ছোঁয়ার জন্য ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর খরচ হবে কম-বেশি ৮০০ কোটি টাকা! যা হলিউডের বিজ্ঞানভিত্তিক ছবি ‘ইন্টারস্টেলর’ তৈরির খরচের থেকেও বেশ খানিকটা কম!

২০১৪ সালে তৈরি হয়েছিল ইন্টারস্টেলর। সে সময় ওই ছবি তৈরিতে খরচ হয়েছিল ১ হাজার ৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২৬২ কোটি টাকা কমেই হবে এ বারের ‘চন্দ্রযান-২’-এর অভিযান।

শুধু ‘চন্দ্রযান-২’ নয়। অপেক্ষাকৃত অনেক কম খরচে ‘চন্দ্রযান-১’-এর মিশন শেষ করেছিল ইসরো। হলিউডি ছবি ‘গ্রাভিটি’র থেকেও কম পড়েছিল সেই মিশনের খরচ। ২০১৩ সালে ‘গ্রাভিটি’ তৈরিতে খরচ পড়েছিল ৬৪৪ কোটি টাকা। সেখানে ‘চন্দ্রযান-১’-এ মোট খরচ পড়েছিল ৪৭০ কোটি।

কী ভাবে এত কম খরচে এত বড় বড় মিশন সম্ভব হচ্ছে?

আরও পড়ুন: সূর্যের ‘রাক্ষস’দের বহু আগেই চিনে ফেলার পথ দেখালেন বাঙালি

সেই রহস্য ফাঁস করেছেন ইসরো প্রধান কে সিভান নিজেই। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক একান্ত সাক্ষাৎকারে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যতটা সম্ভব সরল পদ্ধতিতে পুরো কাজটা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো হয়েছে ইঞ্জিন। মিশন সম্পূর্ণ করতে কঠোর ভাবে নজর দেওয়া হয়েছে প্রতিটি ধাপে, যাতে কোথাও কোনও কিছুর বিন্দুমাত্র অপচয় না হয়, গাফিলতি না থাকে। মহাকাশযান তৈরির প্রতিটি পর্যায়ে চালানো হয়েছে নজরদারি।’’

আরও পড়ুন: বৃহস্পতির চাঁদে প্রাণ আছে? বাঙালির চোখে খুঁজে দেখবে নাসা​

ইসরোর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘‘চাঁদে নামার জন্য ইতিমধ্যেই মহাকাশযানটির পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। ‘চন্দ্রযান-২’ যাতে নির্বিঘ্নে, নিরাপদে চাঁদে নামতে পারে, সে জন্য যে ইঞ্জিনটি ইসরো বানিয়েছে, তার পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছে তিরুনেলভেলি জেলার মহেন্দ্রগিরি ও বেঙ্গালুরুর চিত্রদুর্গ জেলার চাল্লাকেরে ইসরোর দু’টি কেন্দ্রে। উপগ্রহটিরও পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে পুরোদমে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE