মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার আগে দুই যাত্রী।
মহাকাশে ঘাঁটি গড়ার চিনা স্বপ্নপূরণ হতে আর বাকি মাত্র ছ’বছর! সব কিছু ঠিকঠাক চললে ২০২২-এ কক্ষপথে প্রথম বার স্পেস স্টেশন বানিয়ে সেখানে কাজকর্ম চালু করতে পারবে চিন। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ শেনঝউ-১১ মহাকাশযানে চড়ে রওনা দিলেন দুই মহাকাশচারী জিং হাইপেং এবং চেন ডং।
এ দিন ভোরবেলা থেকেই বেজিংয়ের পশ্চিম গানসু প্রদেশের জিয়াকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টারে দেশিবিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভিড়ে ভিড়াক্কার। মিশন কম্যান্ডার হিসেবে এর আগে দু’বার মহাকাশে পাড়ি জমানো হয়ে গিয়েছে জিংয়ের। তবে আনকোরা চেন ডংয়ের এটাই প্রথম মহাকাশযাত্রা। কুড়ি জনের মধ্যে থেকে ওই দু’জনের ভাগ্যে শিঁকে ছিঁড়েছে। ৩৩ দিন কক্ষপথে থাকার জন্য মহাকাশযানে মজুত করা হয়েছে প্রায় একশো ধরনের খাবার। জিয়াকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মহাকাশে ৩৩ দিনের মধ্যে ৩০ দিনই তিয়াংগং-২ স্পেস ল্যাবে কাটাবে শেনঝউ-১১।
আকাশপথে মিলিয়ে যাওয়ার পর এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে সেন্টারের ডিরেক্টর জেনারেল ঝাং ইউশিয়ার দাবি, শেনঝউ-১১ মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ ‘সম্পূর্ণ সফল’ হয়েছে। গত এক দশক ধরেই মহাকাশ গবেষণার কাজে কোটি কোটি অর্থ ব্যয় করেছে চিন। আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো মহাকাশ গবেষণায় পারদর্শী দেশ ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও জাপানকে টেক্কা দিতে তৎপর চিন সরকার। ২০১৫ সালের মধ্যে চাঁদে অভিযান করা ছাড়াও মঙ্গল গ্রহে একটি আনম্যানড ভেহিকল পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত গবেষকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, “মহাকাশের রহস্যভেদ করতে এখনও আমাদের অনেক পথ অতিক্রম করা বাকি।”
চিনের ম্যানড স্পেস এজেন্সি-র ডেপুটি ডিরেক্টর য়ু গ্যাং জানিয়েছেন, এই অভিযানের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণার কাজে মূল্যবান অভিজ্ঞতা লাভ হবে। তবে এই মিশন আরও গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, গোটা পরিকল্পনা ও তার রূপায়ণ হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির হাত ধরে।
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy