Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Science News

রক্তপাত বন্ধ হবে দেড় মিনিটে, সাড়া ফেললেন দুই ভারতীয় বিজ্ঞানী

সেনাবাহিনীর জন্য কিছু করবেন, এই ইচ্ছাটা ছিল ছোটবেলা থেকেই। সেই ‘কিছু করার’ ইচ্ছাটার বাস্তব প্রয়োগ করতে গিয়ে একেবারে যেন ‘সঞ্জিবনী সুধা’ আবিষ্কার করে ফেললেন দুই ভারতীয় বিজ্ঞানী।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:১৬
Share: Save:

সেনাবাহিনীর জন্য কিছু করবেন, এই ইচ্ছাটা ছিল ছোটবেলা থেকেই। সেই ‘কিছু করার’ ইচ্ছাটার বাস্তব প্রয়োগ করতে গিয়ে একেবারে যেন ‘সঞ্জীবনী সুধা’ আবিষ্কার করে ফেললেন দুই ভারতীয় বিজ্ঞানী। আর তাঁদের এই নতুন আবিষ্কারে শুধু সেনাবাহিনী নয়, উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষও।

কী এমন জিনিষ আবিষ্কার করেছেন তাঁরা?

বেঙ্গালুরুর দুই বিজ্ঞানী এম এস সন্তোষ এবং দিবাকর এম বি-র দাবি, তাঁরা গবেষণাগারে তৈরি করে ফেলেছেন এমন এক ধরনের স্পঞ্জ, যা মুহূর্তেই রক্ত তঞ্চনে সক্ষম। ডিএপিজিএস (কার্বক্সাইল-লিঙ্কড গ্রাফিন স্পঞ্জ) নামক এই স্পঞ্জ গভীর ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করলে ৯০ সেকেন্ডের মধ্যেই রক্তপাত কমে যাবে বলে দাবি করছেন তাঁরা।

সম্প্রতি জ্যোতি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির সেন্টার ফর ইনকিউবেশন, ইনোভেশন, রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সির গবেষণাগারে সন্তোষ এবং দিবাকর তৈরি করেছেন এমনই ‘আজব’ স্পঞ্জ।

আরও পড়ুন: ‘সেফ সেক্স’এর জন্য তৈরি আছে অ্যাম্বুল্যান্স, সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীও

এই আবিষ্কার খুলে দিতে পারে বহু নতুন দিক

সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সন্তোষ জানান, ‘‘যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদের কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ স্পঞ্জ তৈরি করেছি আমরা। যা খুব সহজেই রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করবে।’’ তবে তাঁদের এই আবিষ্কার যে গুরুতর আহতদেরও সাহায্য করবে তা মেনে নিচ্ছেন অনেক বিশেষজ্ঞই।

কী ভাবে রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করে ডিএপিজিএস স্পঞ্জ?

ক্রস লিঙ্ক গ্রাফিন মেটিরিয়াল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই স্পঞ্জ। যাতে থাকে দ্রুত শুষে নেওয়ার ক্ষমতা। পাশাপাশি এই স্পঞ্জে থাকে মেডিক্যাল অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং বায়োকম্পাটিবল প্রোটিন। যা যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে ক্ষতস্থানকে রক্ষা করে।

আরও পড়ুন: টর্চ, চার্জার, প্লেয়ার! ‘আজব’ ছাতা বানালো মধ্যপ্রদেশের কিশোর

দিবাকরের দাবি, ‘‘ডিএপিজিএস স্পঞ্জ শুধু ভাল আর দ্রুত কাজ করে তাই নয়, এর দামও বেশ সস্তা।’’

এই মুহূর্তে বাজারে আসার অপেক্ষায় দিন গুনছে ডিএপিজিএস। দুই বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন, এই স্পঞ্জের পেটেন্ট নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত মূলধন জোগাড় করে গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চলছে সমানতালে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE