Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’-এর বিধ্বংসী রূপ

আকাশ কাঁপিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা দেয় এমআই-২৫। আসলে হেলিকপ্টার। কিন্তু ডাক নাম হল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’। পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হানা দিয়ে ভারতের এই উড়ন্ত ট্যাঙ্কই ধ্বংস করতে চেয়েছিল জঙ্গিরা। চেষ্টা বিফল হয়েছে। পাইলট থেকে সমর বিশেষজ্ঞ, সকলে এই নামেই ডাকতে পছন্দ করেন এই বিধ্বংসী হেলিকপ্টারকে। ভারতের হাতে বড় সংখ্যায় মজুত থাকা এই কপ্টার যখন তীব্র বেগে হানা দিয়ে আকাশ থেকে আগুন ঝরাতে শুরু করে, তখন বুক কেঁপে যায় প্রবল পরাক্রমী প্রতিপক্ষেরও। প্রতিরোধের সময়টুকুও পাওয়া যায় না অনেক সময়।আকাশ কাঁপিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা দেয় এমআই-২৫। আসলে হেলিকপ্টার। কিন্তু ডাক নাম হল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’। পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হানা দিয়ে ভারতের এই উড়ন্ত ট্যাঙ্কই ধ্বংস করতে চেয়েছিল জঙ্গিরা। চেষ্টা বিফল হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ ২১:২০
Share: Save:

এমআই-২৫ নিয়ে বিমানবাহিনী এত আত্মবিশ্বাসী কেন? জেনে নেওয়া যাক সংক্ষেপে:

১. রাশিয়ায় তৈরি এমআই-২৫ কপ্টার এত রকমের কাজে ব্যবহার করা যায়, যে ন্যাটো বাহিনীর হাতে থাকা অত্যাধুনিক কপ্টারের পক্ষেও এর সঙ্গে এঁটে ওঠা মুশকিল। সামরিক কপ্টার সাধারণত দু’ধরনের হয়। একটি হল হামলা চালানোর জন্য। অন্যটি সেনা জওয়ানদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য। এমআই-২৫ দু’টি কাজই করতে পারে।

২. আমেরিকার হাতে থাকা বেল ইউএইচ-১এস হেলিকপ্টারও আক্রমণ ও পরিবহন, দু’টি কাজেই লাগে। কিন্তু এক সঙ্গে দু’টি কাজ ওই মার্কিন কপ্টারও করতে পারে না। আক্রমণের সময়ে বাহিনী নিয়ে যাওয়ায় অক্ষম আমেরিকার ওই কপ্টার। কিন্তু এমআই-২৫ আক্রমণ চালানোর সঙ্গেই ৮জন সৈনিককে বহন করতে সক্ষম।

আরও পড়ুন:

কাবুলকে ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ দিয়েছে দিল্লি, বিপদের মেঘ দেখছে পাকিস্তান

৩. হেলিকপ্টার গানশিপ এবং অ্যাটাক হেলিকপ্টার— এই দুই ভূমিকাতেই কাজ করতে পারে এমআই-২৫। অর্থাৎ মেশিনগান থেকে গুলি চালাতে পারে। আবার, বোমা বর্ষণ, অটোম্যাটিক ক্যানন থেকে গোলাবর্ষণ, রকেট হামলা চালানো এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল নিয়ে আক্রমণও করতে পারে এই ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক।’

অন্য বিষয়গুলি:

Photo Gallery MI-25
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE