সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। শারীরবৃত্তীয় সমস্ত কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য পর্যাপ্ত এবং ভাল ঘুম হওয়া দরকার। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে নানা রকম চাপ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অনিদ্রাজনিত সমস্যা বাড়তে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কখনও ঘুমের ওষুধও খেতে হয়। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য ‘সোনার কাঠি-রুপোর কাঠি’-র মতোই গুরুত্বপূর্ণ হল ‘স্লিপ মাস্ক’। যা চোখের উপর অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি আবহ তৈরি করে। নিশ্চিন্তে ঘুমোনোর জন্য এই পরিবেশ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন:
ঘরের সব আলো নেভানো থাকলেও আশপাশ থেকে আসা বিচ্ছুরিত আলো মেলাটোনিন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমের পুরো চক্রটি নির্ভর করে এই মেলাটোনিন হরমোনের উপর। স্বাভাবিক ভাবেই এই হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যা থেকে আপাত ভাবে মুক্তি দিতে পারে ‘স্লিপ মাস্ক’।
আরও পড়ুন:
ঘুমোনোর সময়ে চোখে মাস্ক লাগানো কি আদৌ ভাল?
‘স্লিপ জার্নাল’-এ ২০২৩-এ প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, রাতে আলো বন্ধ না থাকলেও ঘরের মধ্যে আশপাশ থেকে আসা আলোয় মস্তিষ্ক আরও সজাগ হয়ে ওঠে। রাতে শোয়ার পরও সারা দিনের কাজের নানা ঝলক ভেসে উঠতে থাকে। এ ধরনের কৃত্রিম আলো ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চোখে মাস্ক ব্যবহার করা যেতেই পারে।