যে সব সংস্থা এই বিমা এনেছে তাদের একটা বড় অংশই ক্রেতার স্বার্থ রক্ষার নামে দুটো আলাদা শর্ত বিক্রি করছে। একটা হল শুধু ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসা অর্থাৎ ‘ওপিডি’ আর অন্যটি হল হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসার জন্য।
শুরু হয়েছিল চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে, এবং তা ডাক্তারের চেম্বারে চিকিৎসার জন্য। এখন তা দাঁতের আরও নানান চিকিৎসার খরচ মেটায়। আপনার চিকিৎসা বিমার অংশ হিসাবেই নিতে হবে এই বিমা।
চিকিৎসার জন্য এক বারই ব্যবহার করা যায়, এমন প্রয়োজনীয় জিনিস যা স্বাস্থ্য বিমার আওতায় এত দিন আসত না, এ বার একটু বেশি টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে এই নতুন শর্ত বা রাইডার জুড়ে দিলে আর সমস্যা থাকবে না।
চাকরির অবসান, বরখাস্ত, সাময়িক বরখাস্ত বা অসুস্থতার কারণে চাকরি হারানো বা দুর্ঘটনার কারণে কোনও ধরনের অক্ষমতা থাকলেই এটি দাবি করা যেতে পারে। পলিসির সঙ্গেই শুধুমাত্র কভারের পুনর্নবীকরণ করা হয়।
ক্লেম –এর অনুপাত এবং যাতে প্রায় সব হাসপাতালেই এর সুযোগ নেওয়া যায় কিনা তাও দেখে নিন। লাইফ টাইম রিনিউবিলিটি অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। আপনার পলিসিতে নবীকরণের সুবিধা কতটা তা খতিয়ে দেখিয়ে নিন।
ডিজিটাইজেশনের ফলে বিমা ব্যবসায় ইতিমধ্যেই আমূল পরিবর্তন এসেছে। বিমা সংস্থাগুলির কাছে তথ্য বিশ্লেষণ করে নতুন নতুন পলিসি তৈরি করাও সহজ হয়ে গিয়েছে। তাই ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে বাজারেও নানা ধরনের বিমা।
আর থাকছে ভাল গাড়ি চালানোর জন্য প্রিমিয়ামের সুবিধা। আপনার গাড়ি যদি নিয়ম মেনে ঠিক মতো চলে, তা হলে আপনি এই শর্তে বা রাইডারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। আর এটা কিন্তু নির্ধারণ করবে প্রযুক্তি।
টেলিম্যাটিক্স শব্দটি কিন্তু মোটরগাড়ি শিল্পে বহুল প্রচলিত। মোটর গাড়ির রেসের সময় প্রতিটি গাড়ির ইঞ্জিন থেকে শুরু করে চাকার অবস্থা দূরে বসে সেই গাড়ির সহায়ক প্রযুক্তিবিদেরা প্রতিটি মুহূর্তে নজর রাখেন।
এ বার কিন্তু শুধু অ্যাক্সিডেন্ট না করলেই যে প্রিমিয়ামের উপর ছাড় পাবেন, তা না-ও হতে পারে। উল্টে গাড়ি ঠিক মতো না চালানোর কারণেই প্রিমিয়াম বেশি দিতে হতে পারে। আর এ সবই হবে নতুন প্রযুক্তিতে।
একটা সময়ের পরে গিয়ে আপনার বিমার অঙ্ক বাড়াতেও পারবেন না স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করিয়ে। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি বাড়তেই থাকবে। আর যে টাকার কভারেজ আপনি কিনেছেন তা অপ্রতুল হয়ে পড়বে মুদ্রাস্ফীতির কারণেই।