Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
স্মরণ ৩...

উত্তরাধিকার

শব্দটি তাঁর পাশে বেমানান। কিন্তু চর্যাপদ থেকে মাইকেল যেন সমসাময়িক। গালিব কী লোরকা সহোদর। লিখছেন সুবোধ সরকার।শব্দটি তাঁর পাশে বেমানান। কিন্তু চর্যাপদ থেকে মাইকেল যেন সমসাময়িক। গালিব কী লোরকা সহোদর। লিখছেন সুবোধ সরকার।

এক ভক্তের গ্রামের বাড়িতে।

এক ভক্তের গ্রামের বাড়িতে।

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৪ ১৫:৩৫
Share: Save:

পৃথিবীর মন্থরতম গাড়ি ট্রামে কাটা পড়ে ছিলেন জীবনানন্দ দাশ। ট্রাম আসছে সেটাও চোখে দেখতে পাননি, তিনি কি এতটাই দূরতর দ্বীপ ছিলেন? এ রকম মৃত্যুও হতে পারে?

লোরকা ৩৮ বছর বয়েসে খুন হয়ে যান, ফ্র্যাঙ্কোর মিলিটারি জানিয়ে দেয় লোরকার বডি পাওয়া যায়নি। লোরকা ছিলেন একই সঙ্গে হোমোসেক্সুয়াল, ক্যাথলিক এবং কম্যুনিস্ট। তাঁর কোনও আলাদা আলাদা নিশ্বাস ছিল না, ক্যাথলিক হিসেবে এক রকম, কম্যুনিস্ট হিসেবে আর এক রকম। ক্যাথলিকদের মতো হিপোক্রিট ছিলেন না, কম্যুনিস্টদের মতো ছুঁচিবাই ছিলেন না।

সাড়ে চারশো বছর আগে ভারতে আর এক কবি খুন হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর নাম তুকারাম। শূদ্র কবিতা লিখতে পারবে না এই অজুহাতে ব্রাহ্মণেরা তাঁর কবিতা নদীর জলে ফেলে দিয়েছিল, কিন্তু মরাঠিরা বিশ্বাস করে তাঁর কবিতা জল থেকে উঠে এসেছিল। মাত্র ৩৮ বছরে তুকারামকে সরিয়ে দিয়েছিল জাতের নামে বজ্জাতি করা অভিজাতরা।

শক্তি চট্টোপাধ্যায় মারা যান এমন এক দিনে যার আগের দিনও তিনি প্রবল ভাবে পান করেছেন গরল, আগের রাতেও তিনি ছিলেন স্বরাট, তিনি ছিলেন উদাত্ত, তিনি ছিলেন নিবিড় ঘন আঁধারে, ঢক ঢক করে তরল আঁধার পান করেছিলেন, কে জানে সেটাই অমৃত কি না।

অধিক মদ্যপানের কারণে পৃথিবী থেকে তিনি তাড়াতাড়ি চলে যান, এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলেকজান্ডারের মিল আছে, ভারত থেকে ফেরার পথে অত্যধিক অমৃত পানের জন্য তাঁকে অতি কম বয়সে বিশ্ব জয় করে অকালে চলে যেতে হয়।

শক্তি চলে গেছেন বাংলা কবিতা জয় করে। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে যখন তাঁর শরীর পাঁউরুটির মতো পুড়ে যাচ্ছিল, বাইরে এক কোনায় দাঁড়িয়ে আমরা কয়েক জন আবৃত্তি করছিলাম ‘ও চিরপ্রণম্য অগ্নি’। আবৃত্তি করছিলাম,
‘তীরে কি প্রচণ্ড কলরব
জলে ভেসে যায় কার শব
কোথা ছিল বাড়ি
রাতের কল্লোল শুধু বলে যায়
আমি স্বেচ্ছাচারী’।

কেউ কেউ থাকেন যাঁরা চল্লিশ, পঞ্চাশ, ষাটের মধ্যে যা করার, যা যা করার করে কেটে পড়েন, আশি পর্যন্ত টানতে পারেন না। কিন্তু আমার কানে এখনও বাজে সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলছেন, “শক্তি, অনেক দিন বাঁচতে হবে, না হলে সব পাবে না।”

সুভাষদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে শক্তিদা আমার কাঁধে হাত রেখে ক্যুইজ মাস্টারের মতো একটা প্রশ্ন করলেন, “বল তো ছোকরা সুভাষদা আসলে কী বললেন?”

আমি পারলাম না। বললেন, “মিনিমাম বাহাত্তুরে না হলে জ্ঞানপিঠ পাবে না, আরে ধ্যাৎ ওসব জ্ঞানপিঠ-ট্যানপিঠ দিয়ে আমার কী হবে?”

সিলভিয়া প্লাথের কী হয়েছিল? এই সুন্দরী মার্কিন কবি যিনি প্রথম জীবনে মডেল ছিলেন, অসহ্য অভিমানে নিজের মুণ্ডটাকে গ্যাস আভেনে ঢুকিয়ে দিয়ে গ্যাস চালিয়ে দিয়েছিলেন।

সিলভিয়া প্লাথের জ্ঞানপিঠ পাওয়া হল না, শক্তিদারও পুলিৎজার হাতে এল না। পুরস্কার দিয়ে কিচ্ছু হয় না, পাবলিক মেমরি ক্ষণজীবী, বেডরুম থেকে চৌকাঠে আসতে আসতেই তার আয়ু ফুরিয়ে যায়, তবু শক্তিদার কয়েকটা লাইন উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কয়েকটা লাইন লালমাটির দেশে চলে গেছে, কয়েকটা লাইন কাকদ্বীপের চায়ের ঠেকে ফিরে ফিরে আসছে, কয়েকটা লাইন পার্ক স্ট্রিট ধরে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু শক্তিদা নিজেই কিছু লাইন সঙ্গে করে নিয়ে চলে গেছেন, আমরা যাতে বিনষ্ট করতে না পারি।

কাউকে কেয়ার করতেন না, এমন কি বৌকেও না। যে মীনাক্ষীদিকে চিনের প্রাচীর বলে মানতেন, তাঁর কথাও শোনেননি, শুনলে শান্তিনিকেতন থেকে বাড়ি ফিরে আসতেন, শ্মশানে যেতেন না।

শক্তি চলে গেছে, সঙ্গে নিয়ে গেছে স্পর্ধা

যেন তিনি প্রতিদিন কষ্ট পাবার জন্য, প্রতিদিন কষ্ট দেবার জন্য জন্মেছিলেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে একটা কথা বলা যায় যখন সারা পৃথিবীর মানুষ আহার করে, ছেলেমেয়ে বৌ নিয়ে ঘুমায় তখন শক্তি চট্টোপাধ্যায় জাগেন।

কথাটা আমার নয়, কবিরের দোঁহায় বলা আছে। সারা পৃথিবীর শক্তিদাদের নিয়ে, ভিক্ষাই যেহেতু তাঁদের মনীষা, আঁদ্রে জিদ যাকে বলেছিলেন ‘ডিভাইন স্পার্ক’, একই রকম ভাবে কবিরের কথা যেমন অমোঘ তেমনি কুয়োতলার মতো প্রশান্ত।

তাঁর পাণ্ডুলিপি।

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কোনও উত্তরাধিকার নেই। তাঁর কোনও সমসাময়িক নেই, তাঁর ঘাড়ে বসে কেউ কখনও পা দোলাতে দোলাতে ডিকটেট করেনি, এভাবে লেখো। কিন্তু চর্যাপদ থেকে মাইকেল তাঁর সমসাময়িক। গালিব থেকে লোরকা তাঁর সহোদর।

ষাটের দশকে যাঁরাই তাঁকে অনুসরণ করেছেন, নকল করেছেন, বাংলা কবিতা থেকে মুছে গিয়েছেন। কেননা বাংলা কবিতা এখনও সেই পবিত্রতম পরিসর যেখানে জেরক্স কপি বেশি দিন চলতে পারে না। শক্তিদা নিজেই ছিলেন বুভুক্ষু, তিনি তাঁর ফ্যাকসিমিলিদের আহার করে ফেলতেন।

তিনি যেভাবে বাঁচতে চাইতেন, যেভাবে তিনি বেঁচেছিলেন তার যেমন উত্তরাধিকার নেই, তেমনি তাঁর কবিতার কোনও দোকান নেই, পার্লার নেই, সেলুন নেই। তিনি নিজেই নিজের প্রতিষ্ঠান, নিজেই নিজের সম্রাট, যেন তিনি লুসিফারকে নন্দনকাননের গল্প বলছেন, মেফিস্টোফিলিসকে পড়িয়ে চলেছেন উপনিষদ। পরান্মুখ সবুজ নালিঘাস যেমন দুয়ার চেপে ধরে তেমনি তাঁর কবিতা আমাদের চেতন আর অবচেতনকে জড়িয়ে ধরে আছে। এই জড়িয়ে ধরে থাকাটাই তাঁর উত্তরাধিকার।

ফেব্রুয়ারি ১৬, ১৯৯৫ শক্তি চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতীতে তিন মাসের জন্য ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন চিরসখা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। যে সুনীলের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব তখনই ইতিহাস। সঙ্গে ‘কৃত্তিবাস’-এর আর এক কবি শরৎকুমার। একেবারে চাঁদের হাট।

পৃথিবীতে আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে তিন জন সমকালীন কবিকে একই সময়ে একই পোস্টে অভিষিক্ত করেছে বলে আমি কখনও শুনিনি। হ্যাটস অফ টু বিশ্বভারতী।

ব্রুকলিনে পড়াতেন অ্যালেন গিনসবার্গ, পড়াতেন নিজের কবিতাই, কেননা তাঁর বিষয় ছিল বিট জনারেশন। ৩ মার্চ সস্ত্রীক বেঙ্গালুরুতে যান সাহিত্য অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে। ১২ মার্চ ফিরে আসেন শান্তিনিকেতনে, থাকতে শুরু করেন পূর্বপল্লি গেস্ট হাউসে ২০ নম্বর ঘরে। পাশের ঘরে শরৎকুমার, ১৯ নম্বরে। কিন্তু কলকাতায় ফিরে আসেন মীনাক্ষী। শক্তিকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ চলতে থাকে। চলতে থাকে কবির লাগামবিহীন জীবন।

২১ মার্চ কবিকন্যা তিতি যান শান্তিনিকেতনে বাবার দেখভালের জন্য। ২৩ মার্চ ভোর চারটে তিরিশে কবি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তিতি চায়ের জল বসিয়েছিলেন।

রবীন্দ্রসদন থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশান পর্যন্ত পরের দিন কোনও গাড়ি চলেনি, চলেছে শুধু মাথা। জীবনে প্রথম আমি শবানুগমন করলাম, জীবনে প্রথম দেখলাম কোনও কবিকে নিয়ে জনসমুদ্র।

‘কশ্চিৎ গণ্ডগ্রাম’ বহড়ুতে জন্ম। হুগলির খানাকুল-কৃষ্ণনগরে তাঁর পূর্বপুরুষ টোল চালাতেন। নিজেই লিখে গেছেন, ‘শীতের জাতক আমি, দু’হাতে শূন্যতা’।

নিজেকে ঠকিয়ে, ডাহা মিথ্যে লিখে রেখে গেছেন শক্তিদা। তাঁর দু’টি হাত, মহাকাশগামী দু’টি হাত, আজ গোটা বাংলা কবিতার উত্তরাধিকার।

অতএব যতই ব্লিচ থাকুক, ত্বকের পক্ষে যতই ক্ষতিকর হোক, সর্বত্র রেকর্ড বিক্রি।

পরিচিত এক চিকিৎসক আফশোস করছিলেন, “মানুষকে ‘মেলানিন’-এর কার্যকারিতা বোঝানোটাই সমস্যা। শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে মেলানিন কম থাকলে কেউ ফর্সা হয়। বাইরে থেকে ত্বক ঘষেমেজে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করা যায়, ফর্সা করা যায় না। কিন্তু মানুষকে ঠেকায় সাধ্য কার! তাঁদের ওয়াকিবহাল করতে ২০০৯ সাল থেকে ভারতে ‘ডার্ক ইজ বিউটিফুল’ প্রচারাভিযান শুরু করেছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ইদানীং তাঁর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর অভিনেত্রী নন্দিতা দাস। কিন্তু এই সচেতনতা অভিযানের কথা জানেন কত জন?

সুনন্দা মুখোপাধ্যায় তো হিসাব দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে মাসে অন্তত পাঁচটা এমন কেস পান যেখানে বৌমা কালো এবং অসুন্দর বলে শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁর উপর অত্যাচার চালান এবং বাবার থেকে নিয়মিত টাকাপয়সা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেন। হবেই না বা কেন, যা কিছু খারাপ বা কুৎসিত তা বোঝাতে তো আমরা ‘কালো’ কথাটার ব্যবহারই করি। কালো টাকা, কালোবাজারি, এমনকী ‘‘সাম্রাজ্যবাদীর ‘কালো হাত’ ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও!’’

শ্রীজাত বলছিলেন, “যদি এই দুনিয়াটাকে সাদা-কালোয় দেখা যায় তাহলে যা কিছু কুৎসিত, খারাপ সেটাই কালো। শুভ অনুষ্ঠানে কালো পোশাক পরা বারণ, সিনেমায় হিরো মানে ফর্সা আর ভিলেনরা কালো, দেবতাদের গায়ের রং ফর্সা আর অসুর বা রাক্ষসদের কালো। কালো মানেই অন্ত্যজ, নিম্নবর্ণীয়।”

বলিউডের গ্ল্যামারাস বাঙালি নায়িকা বিপাশা বসুও একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ছোটবেলায় মোটা আর কালো ছিলেন বলে আত্মীয়-পরিজনের অনেক বাঁকা কথা এবং ঠাট্টা শুনতে হয়েছিল তাঁকে। মীরাতুনেরও মনে পড়ে সেই সময়ের কথা যখন তাঁর জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে। একদিন বাবা একান্তে মায়ের কাছে দুঃখ করছেন। কারণ কে নাকি বলেছে মেয়ের রং কালো, তাই পাত্র পেতে সমস্যা হবে। আড়াল থেকে শুনে মীরাতুন স্তম্ভিত। তিনি সত্যি ততটা কালো নন। কিন্তু যদি সত্যি তা-ই হতেন, তা হলে কী হত? পৃথিবী কি ভেঙে পড়ত?

ভুক্তভোগী লেখিকা সুচিত্রা ভট্টাচার্য বা অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারেরাও। সুচিত্রার বোনের গায়ের রং তাঁর থেকে উজ্জ্বল। বাড়িতে দুই বোনের জন্য যখন পোশাক আসত তখন বোনের জন্য গাঢ় রঙের, তার জন্য হালকা। অভিমানে গলার কাছটা শক্ত হয়ে উঠত তাঁর। কান্না পেত, কিন্তু কিছু বলতে পারতেন না।

শ্রীলা-ও স্কুল থেকে বাসে বাড়ি ফেরার সময় বাসে কোনও ফর্সা মহিলার পাশে বসতেন না। কীরকম একটা ধারণা হয়েছিল যে, ফর্সা লোকের পাশে বসলে তাঁর কালো রং আরও বেশি বোঝা যাবে। সব সময় বিভ্রান্ত থাকতেন কী পরবেন, কী মাখবেন সব কিছু নিয়ে। পরবর্তী কালে যখন অভিনয়ের জগতে এলেন তখন মেনস্ট্রিম ফিল্মে একের পর এক কাজ হাতছাড়া হয়েছে শুধু গায়ের রঙের জন্য।

শ্রীলার কথায়, “তখন ছিপছিপে শরীর ছিল। শাড়ি পরে, বিনুনি করে, কপালে টিপ পরে যখন যেতাম, সবাই বলত আমাকে অসাধারণ লাগছে। কিন্তু কাজ কেউ দিত না। যতটুকু অভিনয় করেছি বেশির ভাগই তথাকথিত আর্ট ফিল্মে। এটাই আমাদের মাইন্ডসেট।”

তবে সুখের কথা এই মাইন্ডসেট পাল্টাচ্ছে। শ্রীজাত-রা বুক ঠুকে বলছেন, “আমার কৃষ্ণাঙ্গীই পছন্দ। তাঁদের আবেদন অতুলনীয়।” তারাশঙ্করের কথা ধার করে ব্রাত্য বসুর-ও বক্তব্য, “কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকলে কান্দ কেনে?” ব্রাত্য আরও বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ কালোকে অসুন্দর ভাবল কিনা সেটা ভাবার দরকার নেই। তারা তো থিয়েটার ছেড়ে সিরিয়াল দেখে। তাই বলে কি তাকে সমর্থন করতে হবে? আমার বন্ধুবান্ধব, পরিচিত, সতীর্থ-সহকর্মী এমন অনেক কৃষ্ণাঙ্গী রয়েছে যাঁরা যথেষ্ট সুন্দরী, আকর্ষণীয়া এবং সফল।” শুধু মডেলিং বা অভিনয়জগৎ নয়, এ সমাজে, বিভিন্ন পেশায় দাপটে রাজত্ব করছে কৃষ্ণারা। নামী গহনা সংস্থাও তাদের ছকভাঙা সুপার হিট বিজ্ঞাপনে গৌরাঙ্গীর বদলে দেখাচ্ছে এক আকর্ষণীয়া কৃষ্ণাঙ্গীর দ্বিতীয় বিয়ের কাহিনি।

এ যুগের বহু শ্যামাই গায়ের রং নিয়ে চিন্তামুক্ত। তাঁরা ভেঙে বেরোতে পেরেছেন ফর্সার মিথ। তা ছাড়া সেই রাধার যুগ থেকেই তো গৌরীরা অনায়াসে ঝাঁপ দিতে চেয়েছেন প্রেমিকের কালো রঙে। পরোয়া না করে মিশে যেতে চেয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত সেই রঙে। কত জন ফর্সা পুরুষ নিজের রং ত্যাগ করে গায়ে লাগাতে চেয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গী প্রেমিকার রং? এখানেই নারীর জিত। কালো-র আঁধারে আর বেশি দিন তাঁদের দমিয়ে রাখা যাবে না। কৃষ্ণকলি আপনি নিশ্চিত থাকুন, সৌন্দর্যের দিনবদলের দিন এসে গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

entertainment subodh sarkar sakti chatterjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE