Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বর্ষা-প্রেমে রবীন্দ্রবন্দনা

অনুষ্ঠানের শেষ শিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য তাঁর দরাজ কণ্ঠে পরিবেশন করেন দু’টি বর্ষার গান। মুক্তছন্দে গীত ‘এসো গো জ্বেলে দিয়ে যাও’ এবং ‘এ কী গভীর বাণী’ গান দু’টির মধ্য দিয়ে শিল্পী তাঁর অতি পরিণত গায়নশৈলী প্রকাশ করেন।

মনোময় ভট্টাচার্য

মনোময় ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০১:০৩
Share: Save:

কসবা সঞ্চারী আয়োজিত ‘বর্ষায় ও প্রেমে রবিঠাকুর’ শীর্ষক সঙ্গীতানুষ্ঠান সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে। মুক্তধারা শিল্পী গোষ্ঠী পরিবেশিত বর্ষাঋতুর গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন পরিবেশনা। এর পর প্রায় একুশ জন সঙ্গীতশিল্পী ও তিন জন আবৃত্তিশিল্পী তাঁদের অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। নবীন শিল্পীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য এ ধরনের প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে শিল্পী নির্বাচনে একটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন, যাতে শ্রোতারা সঠিক পরিতৃপ্তি লাভ করতে পারেন। অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মধ্যে ভাল লাগে তানিয়া দাসের ‘আজ কিছুতেই যায় না’, মৌসুমী কর্মকারের ‘আজ আকাশের মনের কথা’, অরুন্ধতী চট্টোপাধ্যায়ের ‘তিমির অবগুণ্ঠনে’, ইন্দ্রাক্ষী ঘোষ বসুর ‘তোমায় গান শোনাব’ এবং চন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘এ পথে আমি যে’ গানগুলি। কিশোরী শিল্পী রোহিণী রায়ের আবৃত্তি মনকে নাড়া দেয়। যদিও সঙ্গীতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য শিল্পীদের পরিবেশনে ছিল যথেষ্ট প্রস্তুতি ও সাবলীলতার অভাব।

অনুষ্ঠানের শেষ শিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য তাঁর দরাজ কণ্ঠে পরিবেশন করেন দু’টি বর্ষার গান। মুক্তছন্দে গীত ‘এসো গো জ্বেলে দিয়ে যাও’ এবং ‘এ কী গভীর বাণী’ গান দু’টির মধ্য দিয়ে শিল্পী তাঁর অতি পরিণত গায়নশৈলী প্রকাশ করেন। ওঁর প্রতিটি গানেই ছিল আন্তরিকতার ছোঁয়া। অনুষ্ঠান সূচিতে শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্যের নাম থাকলেও তিনি সে দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। এই অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কে অবশ্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে শ্রোতাদের কিছুই জানানো হয়নি। অনুষ্ঠানের সহযোগী শিল্পীরা ছিলেন যথাযথ।

কাশীনাথ রায়

অন্য বিষয়গুলি:

Programme Rabindranath Tagore Manomay Bhattacharya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE