মডেল: রিয়া মেকআপ: ভাস্কর বিশ্বাস; হেয়ার: অভিজিৎ দাস, পোশাক: লেবেল , রিতু কুমার, উডবার্ন পার্ক রোড, ছবি: দেবর্ষি সরকার লোকেশন: ক্লাব ভর্দে ভিস্তা, চকগড়িয়া
নতুন জামা, ইয়ারিংস, হ্যান্ডব্যাগ... পছন্দের তালিকায় যা যা ছিল, সব কিছুর শপিং সারা। তবে পুজোর ‘টপ টু বটম’ সাজে জুতোকে ভুলে গেলে চলবে? আর নতুন জুতোর সঙ্গে জুটি বাঁধতে বাধ্য পায়ের ফোস্কা। তা হলে উপায়? পছন্দের জুতো কেনার সঙ্গে সঙ্গে মনে রাখুন কয়েকটা ঘরোয়া সহজ টোটকা, যাতে সাজ হবে সর্বাঙ্গীন সুন্দর।
ব্লক হিলস হোক বা পেনসিল হিলস, গ্ল্যাডিয়েটর শু বা ক্যানভাস... যে কোনও জুতোর গোড়ার কথা কমফর্ট। যে জুতো পরে আপনি সাবলীল নন, সেই জুতো পরে রাস্তায় বেরোলেও সাজ হবে ফ্লপ, বাড়বে শুধুই ঝামেলা। এক্সপেরিমেন্টের জন্য নতুন কিছু ট্রাই করতেই পারেন। তবে পুজোর দিন কয়েক আগে থেকেই নতুন জুতো পরে সড়গড় হোন।
বন্ধুর বাড়ির পার্টি, ডিনার ডেটে হিলস পরতেই পারেন। তবে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখার জন্য ফ্লিপ ফ্লপ বা স্যান্ডলই শ্রেয়। হিলস পরে বেশি হাঁটাহাঁটিতে যদি স্বছন্দ ও কনফিডেন্ট হন, যে কোনও প্যান্ডেলের নয়নের মণি হবেন আপনিই।
নতুন জুতো পরে যদি পায়ে ফোস্কা পরেই যায়, তার জন্য সব সময় ব্যাগে রাখুন ব্যান্ড-এড। এ ছাড়া বিপত্তি এড়াতে জুতোর যে অংশ পরলে ব্যথা হচ্ছে, সেখানে অল্প তেল লাগিয়ে রাখুন, যাতে পায়ে ব্যথা না হয়।
অনেকের পা এতই ঘামে যে, সেখান থেকে ত্বকের নানা সমস্যা হয়। জুতো থেকেও দুর্গন্ধ বেরোয়। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে জুতো পরার আগে তাতে অল্প করে ট্যালকম পাউডার ছ়ড়িয়ে দিন। এ ছাড়া জুতো পরিষ্কার করে ভাল করে শুকিয়ে নেবেন। পায়েরও যথাযথ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
জুতো যেন পা থেকে খুলে না যায়, তার জন্য অনেকেই বেশি আঁটোসাঁটো জুতো কিনে ফেলেন। তাতেও সমস্যা বাড়ে বইকী! পা কেটে যাওয়া, ফোস্কা পড়া তো আছেই। পাশাপাশি হাঁটতেও অসুবিধে হতে পারে। তাই পায়ের মাপের জুতো কিনুন।
শর্ট ড্রেস, মিনি স্কার্টের সঙ্গে ক্যানভাস বা অ্যাঙ্কল বুটস ম্যাচ করে পরতেই পারেন। সে ক্ষেত্রে পায়ের ফোস্কা এড়ানোর জন্য মোজা দিয়ে জুতো পরতে পারেন। খেয়াল রাখবেন, মোজা যেন পরিষ্কার থাকে। তবে হিলসের সঙ্গে মোজা পরার অবকাশ থাকে না।
পুরনো ফিরুক অচেনা মোড়কে
নতুন জামা কেনার হিড়িকে বাদ পড়ে যেতে পারে নতুন জুতো। সে ক্ষেত্রে পুরনো জুতো ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করে পালিশ করে নিতেই পারেন। এতে নতুন জুতোও হল, আবার সাজও হল ষোলো আনা। অনেকেই গোল্ডেন বা সিলভার ঘেঁষা রঙের জুতো পছন্দ করেন। কিন্তু সব ধরনের ড্রেসের সঙ্গে এই জুতো পরা যায় না। সেই ঝঞ্ঝাট এড়াতে পছন্দের গাঢ় রঙে রাঙিয়ে নিন পুরনো জুতো।
জামার জুটি জুতো
জামা অনেক হলেও সব সময়ে প্রতিটি জামার সঙ্গে ম্যাচিং জুতো কেনা সম্ভব হয়ে ওঠে না। নতুন জামাগুলোকে কয়েকটি ক্যাটিগরিতে ভাগ করে নিন— ইন্ডিয়ান, ওয়েস্টার্ন, ফিউশন। ইন্ডিয়ানের সঙ্গে স্যান্ডল, হিলস তো আছেই। তবে স্টাইল করার জন্য অ্যাঙ্কল লেংথ কুর্তির সঙ্গে গ্ল্যাডিয়েটর বা বুটস পরতেই পারেন। ফ্যান্সি জুতো হলে জামার ঝুল যেন শর্ট থাকে। আর সাদামাঠা জামার সঙ্গে বাহারি জুতো পরবেন। জুতো আর জামা দুটোই একই মাপের জমকালো হলে, জুতোর দিকে নজর পড়বেই না। ওয়েস্টার্ন ড্রেসের সঙ্গে স্টিলেটো পারফেক্ট। খেয়াল রাখবেন, পায়ের পাতা অবধি ঝুলের যে কোনও ড্রেসের সঙ্গে হিলস পরাই ভাল। এতে পোশাকটাও দেখতে সুন্দর লাগে। শরীরের ভারসাম্যও বজায় থাকে। তাই শাড়ির সঙ্গে হিলস মাস্ট। তবে ব্লক হিলস না পেনসিল হিলস, সেটা নির্ভর করছে আপনার আত্মবিশ্বাসের উপর। পালাজ়োর সঙ্গেও হিলস পরাই ভাল।
নজর কাড়তে সলিড কালারের ড্রেস বা কুর্তির সঙ্গে পরতে পারেন প্রিন্টেড স্নিকার্স। রোজকার লোফারসে লাগিয়ে নিতে পারেন বাকল্স। ব্যালেরিনার আবেদন মেয়েদের কাছে চিরন্তন। নতুনত্ব আনতে পুরনো ব্যালেরিনাতেও লাগিয়ে নিতে পারেন একটা বো। বিভিন্ন ধরনের তিন-চার জোড়া জুতো থাকলেই সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে সাজ মানিয়ে যাবে।
তাই সব কেনার শেষে জুতো বলে ফেলে রাখবেন না। বুদ্ধি খাটালেই হয়ে উঠবেন শু-স্মার্ট!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy