—ফাইল চিত্র।
এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের মামলায় চার্জশিট প্রসঙ্গে কার্যত এমনই প্রশ্ন বিজেপি নেতৃত্বের। সরাসরি না বলেও রাজ্য বিজেপির শীর্ষ মহলের ইঙ্গিত, মুকুল রায়ের প্রতি তৃণমূল সরকারের মনোভাব ‘নরম’। তাই মামলার চার্জশিটে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম অভিযুক্ত হিসেবে থাকলেও মুকুলের নাম নাম অভিযুক্ত হিসেবে নেই। আছে সন্দেহভাজন বলে। তাঁর বিষয়ে আরও তদন্ত করার জন্য সময় চেয়েছে সিআইডি। আদালত তিন মাস সময় মঞ্জুর করেছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবার দিল্লিতে এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, ‘‘ভোট যত এগিয়ে আসছে, আমাদের দলের মধ্যে বিভাজন এবং পরস্পরের প্রতি সন্দেহ তৈরি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তাদের কৌশল— আমাদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করা।’’ সূত্রের খবর, বিজেপিতে কাজের উপযুক্ত ‘সুযোগ’ ও ‘পরিসর’ না-পেয়ে মুকুলবাবু ‘অস্বস্তি’তে আছেন। এই অবস্থায় পুরনো দল তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হচ্ছে বলেও গুঞ্জন। যদিও মুকুল বা তৃণমূল— কারও তরফেই এই জল্পনার কোনও সমর্থন মেলেনি। তবে দিলীপ স্বয়ং বিজেপিতে বিভাজনের জন্য তৃণমূল সচেষ্ট বলে মন্তব্য করায় গোটা বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ মাত্রা পেল বলে অনেকের ধারণা।
তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যােয়র কটাক্ষ, ‘‘দিলীপবাবু কি চান মুকুলের নাম সরাসরি অভিযুক্ত হিসেবে সত্যজিৎ-মামলার চার্জশিটে থাক? মুকুল তো সারদা-মামলাতেও সন্দেহভাজন, এখনও অভিযুক্ত নন। দিলীপবাবুর এটাও জেনে রাখা উচিত।’’
আরও পড়ুন: স্ত্রী করোনা পজিটিভ হয়ে আইডিতে, কোয়রান্টিনে সূর্যকান্ত মিশ্র
মুকুল এ দিন কলকাতায় বলেন, ‘‘কেন আদৌ চার্জশিটে আমার নাম আছে, কেন সন্দেহভাজন হিসেবে আছে— এ সব কিছুই আমি জানি না। তবে এটা বলতে পারি, পুলিশ-প্রশাসন বেশি প্রভুভক্তি দেখালে প্রভু সরকার থেকে চলে যায়।’’
আরও পড়ুন: ‘ফেসবুকে ভোটের খেলা’, বিস্ফোরক বহিষ্কৃত কর্মী
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি, হাঁসখালিতে বাড়ির কাছে খুন হন সত্যজিৎ। সিআইডি পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। পরে তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। প্রমাণাভাবে নিষ্কৃতি পান দু’জন। অতিরিক্ত চার্জশিটে নাম আসে জগন্নাথ এবং মুকুলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy