রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।
নিশানায় এক ও একমাত্র নরেন্দ্র মোদী।
রাফাল-চুক্তি নিয়ে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আজ রাহুল গাঁধী বললেন, ‘‘ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে চোর বলেছেন। দেশের ইতিহাসে বোধ হয় এই প্রথম। তাই প্রধানমন্ত্রীকে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।’’
গত কাল ওলাঁদ বলেছিলেন, মোদী সরকারই ফরাসি সরকারকে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে রাফাল-চুক্তিতে মনোনীত করতে বলেছিল। রাহুলেরও এটাই বক্তব্য। মোদী আজ ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ়ে বক্তৃতা দিলেও রাফাল নিয়ে মুখ খোলেননি। বিকেল গড়ানোর পরে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা রাহুলকে ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমেছেন। রবিশঙ্কর প্রসাদ, পীযূষ গয়ালরা অভিযোগ তুলেছেন যে, গাঁধী পরিবারই এ দেশে দুর্নীতির জনক। রাহুল ও তাঁর মা সনিয়া গাঁধী দুর্নীতির মামলায় জামিনে রয়েছেন। এমনকি জাতীয়তাবাদ ও মেরুকরণের হাওয়াও তুলে দিয়েছে বিজেপি।
ওলাঁদের দাবি নিয়ে রাহুলের গত কালের মন্তব্য টুইট করে পাক তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী চৌধরি ফওয়াদ হুসেন টুইটারে লিখেছিলেন, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে বিজেপি কী ভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেমেছে।’’ সেই টুইটের ছবি দিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আজ পাল্টা টুইট করেন, ‘‘রাহুল ও পাকিস্তান— দু’জনেরই দাবি ‘মোদী হঠাও।’ রাহুলের ভিত্তিহীন অভিযোগকে সমর্থন করছে পাকিস্তানও। কংগ্রেস কি মোদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহাজোট গড়ছে?’’ রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘পাকিস্তান ও চিনকে সাহায্য করতে রাফাল যুদ্ধবিমানের সব তথ্য ফাঁস করতে চাইছেন রাহুল।’’
কংগ্রেস সভাপতি অবশ্য তাতে টলেননি। সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত। সকলেরই মাথায় ঢুকে গিয়েছে, দেশের চৌকিদার চোর। ওলাঁদের সঙ্গে মোদীর একান্ত বৈঠক হয়েছিল। ওলাঁদ বলছেন, সেই বৈঠকেই তাঁকে (অনিল) অম্বানীকে বরাত দিতে বলা হয়। তার অর্থ, উনি আমার ও আপনার প্রধানমন্ত্রীকে চোর বলছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে কেন একটা শব্দও বার হচ্ছে না?’’ আজ ওলাঁদ অবশ্য সুর নরম করে বলেছেন, ‘‘ভারত সরকার রিলায়্যান্সকে নিতে চাপ দিয়েছিল কি না, তা (রাফাল নির্মাতা সংস্থা) দাসো-ই ভাল বলতে পারবে।’’
যে মন্ত্রীরা তাঁকে নিশানা করছেন, মোদীর থেকে তাঁদের বিচ্ছিন্ন করার কৌশলও নিয়েছেন রাহুল। বলেছেন, ‘‘মনোহর পর্রীকর, নির্মলা সীতারামন, অরুণ জেটলিরা রাফাল চুক্তিতে সই করেননি। করেছেন নরেন্দ্র মোদী। দেশের যুবকেরা ভাল করে শুনুন। আপনারা মোদীর উপরে ভরসা করেছিলেন। উনি সেই ভরসা ভেঙে দিয়েছেন।’’ গুয়াহাটিতে বাম ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার বলেছেন, ‘‘বিরোধিতা করলেই নকশাল হিসেবে দাগিয়ে দেয় যে সরকার, তাদের কাছে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ আজ সম্ভবত ‘গ্লোবাল নকশাল’।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy