এই ছবি কি এ বার বন্ধ হবে? অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস
মুখে বহুবার সাবধান করা হয়েছে। নির্দিষ্ট গাইডলাইনও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেকথা কানে তোলেনি স্কুলগুলি। স্কুল ব্যাগের ওজন কমাতে এ বার তাই রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। ক্লাস পিছু ব্যাগের নির্দিষ্ট ওজন বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি মন্ত্রকের স্পষ্ট নির্দেশ, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের কোনও হোমওয়ার্ক দেওয়া যাবে না।কোন ক্লাসে কোন বিষয় পড়ানো হবে, মোটের উপর তার একটি রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছে কেন্দ্র। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে মন্ত্রক।
ছোট্ট ছোট্ট পড়ুয়া। কিন্তু তাদেরই পিঠে বিশাল বিশাল ব্যাগ। তার ভার বা ওজন এতটাই যে সোজা হয়ে হাঁটতেও পারে না অনেকে। চেহারা ছোটখাটো হলে সমস্যা আরও বাড়ে। অবস্থা এমন যে, কুঁজো হয়ে হাঁটতে হয়। পরবর্তী কালে অনেকের মেরুদণ্ডের সমস্যাও ধরা পড়ে। এই সব বিষয় মাথায় রেখেই খুদে পড়ুয়াদের স্কুল ব্যাগের ওজন কমাতে কেন্দ্র আগেও অনেক বার গাইডলাইন দিয়েছে স্কুলগুলিকে। কিন্তু তাতেও খুব একটা কাজ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতেই এবার নির্দেশিকা জারি করল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যা পড়াশোনা করবে, সেটাই যথেষ্ট। আলাদা করে বাড়ির জন্য কোনও পাঠ দেওয়া যাবে না। এর পাশাপাশি ক্লাস হিসাবে ব্যাগের সর্বোচ্চ ওজনও নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুল ব্যাগ ১.৫ কেজির বেশি হবে না। এরপর তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ কেজি, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য সর্বাধিক ৪ কেজি, অষ্টম ও নবম শ্রেণির জন্য ৪.৫ কেজি এবং দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ কেজি নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। এছাড়া ক্লাসের বইয়ের বাইরে অন্য কোনও জিনিসপত্র আনা যাবে না বলেও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
ক্লাস অনুযায়ী ব্যাগের ওজন এভাবেই নির্দিষ্ট করে দিল কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আরও পড়ুন: ‘নিয়ম ভেঙে’ চাকরিতে ঢুকেই গেলেন পরেশের মেয়ে!
আরও পড়ুন: বিমানে বসে বন্ধুর সঙ্গে মস্করাই বিপদ ডেকে আনল বেলেঘাটার ছাত্রের
হোমওয়ার্ক না থাকলেও অনেক সময় ছোট ক্লাসেই অনেক কিছু শেখানোর প্রতিযোগিতা থাকে স্কুলগুলির মধ্যে। তার জেরে শিশুদের উপর প্রচুর চাপ পড়ে। এই দিকটি মাথায় রেখে কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে, এনসিইআরটি-র গাইডলাইন অনুযায়ী প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের শুধুমাত্র ভাষা গণিত পড়ানো যাবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ দেওয়া যাবে গণিত ও পরিবেশ বিদ্যা।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy