নিহত মহিলা। ছবি: টুইটার থেকে
বন্ধ ঘরে মা ও তাঁর নাবালক ছেলেকে খুন ঘিরে তীব্র রহস্য নয়াদিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায়। দু’জনকেই ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। যদিও কী কারণে খুন, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। এমনকি, মহিলার মা-ও কোনও সূত্রের সন্ধান দিতে পারেননি তদন্তকারীদের।
স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে মঙ্গলবার নিহত পুজা (৩৬) ও তাঁর ছেলে হর্ষিতের (১২) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দু’য়েক আগে পুজার স্বামী মারা যান। তার পর থেকে তাঁরা দু’জনই ওই বাড়িতে থাকতেন। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আর্থিক সঙ্কট ছিল। মহিলা কোনও চাকরি বা অন্য কাজ করতেন না। চাকরি জাহাঙ্গীরপুরীর কে ব্লকের ওই বাড়ি থেকে মঙ্গলবার তীব্র দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। ওই বাড়ির বাইরে থেকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থওয়েস্ট) বিজয়ন্ত আর্য বলেন, ‘‘ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় ওই ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’’ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুনের আগে দু’জনকেই প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছিল। তার পর ছুরির মতো ধারালো কোনও অস্ত্র পেটে ঢুকিয়ে দু’জনকেই খুন করা হয়েছে। মৃতদেহের অবস্থা দেখে তদন্তকারী অফিসারদের ধারনা, দুই থেকে তিন দিন আগে খুনের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পডু়ন: মোবাইল নিয়ে অশান্তি, অভিমানে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্রী
আরও পড়ুন: বেহালায় দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল স্কুলবাস
তদন্তে নেমে পুলিশ প্রতিবেশীদের বেশ কয়েক জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আপাতত তাঁরা জানার চেষ্টা করছিলেন, গত কয়েক দিনে ওই বাড়িতে কারা কারা যাতায়াত করেছেন। পুজার মা-ও ওই এলাকাতেই থাকেন। তাঁর বক্তব্য, মঙ্গলবার সকালে এলাকার লোকজনের কাছে খবর শুনেই তিনি ঘটনাস্থলে যান। তার আগে পর্যন্ত কিছুই জানতেন না। পুলিশকেও সন্দেহভাজনদের কারও নাম বলতে পারেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy