Advertisement
২২ জানুয়ারি ২০২৫
Chhattisgarh Rape and Murder Case

আদিবাসী কন্যাকে ধর্ষণের পর মাথা থেঁতলে খুন, পাঁচ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিল ছত্তীসগঢ়ের আদালত

ছত্তীসগঢ়ে ১৬ বছর বয়সি আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কিশোরীর বাবা এবং পরিবারের এক চার বছরের শিশুকেও খুন করা হয়। পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২০
Share: Save:

আদিবাসী কন্যাকে গণধর্ষণের পর মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ ছত্তীসগঢ়ে। সেখানকার বিশেষ আদালত এই ঘটনায় মোট ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ষষ্ঠ অভিযুক্তকে। আদিবাসী কন্যাকে ধর্ষণ-খুনের পাশাপাশি ওই ছ’জনের বিরুদ্ধে আরও দু’টি খুনের অভিযোগ উঠেছে।

ছত্তীসগঢ়ের আদালতের বিচারক মমতা ভোজওয়ানি রায় এবং শাস্তি ঘোষণার সময়ে মন্তব্য করেন, ‘‘এই ঘটনা অমানবিক, নিষ্ঠুর। নিজেদের লালসা চরিতার্থ করার জন্য ওরা তিন-তিনটে নিষ্পাপ প্রাণ ধ্বংস করেছে। এটি বিকৃত, নৃশংস এবং কাপুরুষোচিত। গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে এই ঘটনা।’’

কী ঘটেছিল?

ছত্তীসগঢ়ের ওই আদিবাসী কিশোরীর বয়স ১৬ বছর। সাঁতরাম মাঞ্ঝওয়ার নামের এক প্রৌঢ় তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আগে থেকেই তিনি বিবাহিত ছিলেন। ফলে কিশোরীর পরিবার এই বিয়েতে রাজি হয়নি। তার জেরেই সঙ্গীদের নিয়ে কিশোরীর বাড়িতে চড়াও হন অভিযুক্ত। ছ’জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করেন। তার পর পাথর দিয়ে থেঁতলে দেন কিশোরীর মাথা। তার দেহ ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে। এর পর কিশোরীর ৬০ বছর বয়সি বাবাকেও খুন করেন অভিযুক্তেরা। মেরে ফেলা হয় পরিবারের চার বছর বয়সি এক শিশুকন্যাকে।

সাঁতরাম ছাড়াও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁর সঙ্গী ৩৪ বছরের আব্দুল জব্বর, ২৪ বছরের অনিলকুমার সারথি, ৩৯ বছরের পরদেশি রাম এবং ২৬ বছরের আনন্দরাম পানিকাকে। ষষ্ঠ অভিযুক্ত ২৬ বছরের উমাশঙ্কর যাদবকেও সমান দোষে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত সোমবার কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষীর শাস্তি ঘোষণা করে আদালত। তবে সঞ্জয় রায়কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ নয় বলে জানান বিচারক। দোষীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা রুজু করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Chhattisgarh Rape and Murder death sentence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy