কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। —ফাইল চিত্র।
তামিলনাড়ুর পর এ বার কেরলে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং উপাচার্য নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) খসড়া বিধির বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ হল কেরল বিধানসভায়। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ইউজিসি-র খসড়া বিধিকে অসাংবিধানিক বলে বর্ণনা করেছেন। মঙ্গলবার তিনিই বিধানসভায় এর বিরোধিতায় প্রস্তাব পেশ করেন। শিক্ষাব্যবস্থায় কেন্দ্রের নতুন প্রস্তাব নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধীরা সুর চড়িয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেন, ‘‘রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজ্যের বিধানসভায় পাশ করা আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। রাজ্যগুলির নিজেরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং তত্ত্বাবধান করার ক্ষমতা রয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য মান নির্ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে শুধু কেন্দ্রের হাতে। তবে কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলির ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা করছে। কোনও আলোচনা ছাড়াই খসড়া বিধি জারি করা হয়েছে। যা অগণতান্ত্রিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিরোধী।’’
ইউজিসি-র ওই খসড়া বিধির বিরোধিতা ইতিমধ্যেই করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই খসড়া পর্যালোচনার জন্য আট সদস্যের কমিটি গড়েছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। এর পরে বিধানসভার আসন্ন বাজেট অধিবেশনে (যা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে) কেন্দ্রের ওই শিক্ষা-বিধির বিরোধিতায় প্রস্তাব আনা হবে কি না, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং উপাচার্য নিয়োগের পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছে ইউজিসি। তাতে আচার্য তথা রাজ্যপালের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এর বিরোধিতা করেছে বাংলা, তামিলনাড়ু-সহ কয়েকটি রাজ্য। তাদের অভিযোগ, রাজ্যের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে শিক্ষায় গৈরিকীকরণের অপচেষ্টা করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy