এম জে আকবর। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
প্রথম যিনি যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন টুইটারে, সেই সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বিশিষ্ট সাংবাদিক এম জে আকবর। তাঁর সপ্তাহখানেকের বিদেশ সফর শেষে রবিবার নাইজিরিয়া থেকে দেশে ফিরেই আকবর জানিয়েছিলেন, যৌন হেনস্থার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেবেন না। বরং আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
বিভিন্ন নামী সংবাদপত্রের এক সময়ের সম্পাদক আকবরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক প্রিয়া রামানি তাঁর টুইটারে অভিযোগ করেন গত ৮ অক্টোবর। প্রিয়া জানান, বছরখানেক আগে একটি ম্যাগাজিনের লেখায় তিনি যাঁর কাছে যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার ঘটনার উল্লেখ করেছিলেন, তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং এম জে আকবর।
প্রিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আকবর বলেছেন, তাঁকে ‘ইচ্ছাকৃত ভাবেই, পরিকল্পনা করে তাঁকে হেয় করার জন্য ওই মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ’ করা হয়েছে। বলেছেন তাঁর মর্যাদা ও ভাবমূর্তিকে খাটো করতেই ওই ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানানো, তথ্যপ্রমাণহীন’ অভিযোগ করা হয়েছে। আকবর বলেছেন, ওই সাংবাদিক (প্রিয়া রামানি) তাঁকে ‘যথেষ্টই বিড়ম্বনার মধ্যে’ ফেলে দিয়েছেন। ৬৭ বছর বয়সী আকবর এও বলেছেন, ‘‘তথ্যপ্রমাণ ছাড়া অভিযোগ করার অভ্যাসটা সমাজের কোনও কোনও অংশের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রী আকবরের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের মাসকয়েক আগে খুব ভেবেচিন্তেই তাঁর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করা হয়েছে। আকবরের কথায়, ‘‘মিথ্যার পা থাকে না ঠিকই, তবে তার বিষ থাকে। তা মানুষকে কিছুটা সময় আচ্ছন্ন করে রাখে।’’
আরও পড়ুন- #মিটু বিতর্ক: লোকসভার আগে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব আকবরের
আরও পড়ুন- #মিটু বিতর্ক: পদত্যাগ নয়! সব সাজানো ঘটনা, বললেন আকবর
প্রিয়া রামানির অভিযোগের পর অবশ্য একাধিক সাংবাদিক আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, প্রেরণা সিংহ বিন্দ্রা, গাজালা ওয়াহাব, সুতপা পাল, অঞ্জু ভারতী, সুপর্ণা শর্মা, সুমা রাহা, মালিনি ভুপতা, কণিকা গেহলট, কাদম্বরী এম ওয়াড়ে, মাজলি ডি পুই কাম্প ও রুথ ডেভিড।
তবে যেটা লক্ষ্যণীয়, রাজনৈতিক দলগুলি এখনও এ ব্যাপারে আকবরের নাম করে কিছু বলেনি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এক বারের জন্যেও আকবরের নামোল্লেখ করেননি। কংগ্রেসের তরফে শুধু এইটুকুই বলা হয়েছিল, ‘‘হয় উনি সব কিছু জানান, না হলে ইস্তফা দিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy