সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। —ফাইল চিত্র
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও দিল্লিতে মন্ত্রী-আমলা সংঘাত মিটল না। রায়ের পরের দিনই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর ফাইল সই করতে অস্বীকার করল ‘সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট’। ‘আইনি ত্রুটি’ রয়েছে বলে পত্রপাঠ ফাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এই দফতরের দায়িত্বে এখনও উপরাজ্যপাল। আর এরপরই আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে ফের শীর্ষ আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে আপ।
বুধবারই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, উপরাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান হলেও, দিল্লির প্রকৃত ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে। এই রায়ের পরই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া আইএএস-দের বদলি সংক্রান্ত একটি ফাইল পাঠান। সেই ফাইলে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনও ছিল। কিন্তু ‘সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট’ সেই ফাইলে একটি ‘নোট’ দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। তাতে বলা হয়, ফাইলে ‘আইনি ত্রুটি’ রয়েছে।
কী সেই ত্রুটি?
সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের তরফে বলা হয়েছে ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আমলাদের বদলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার উপরাজ্যপালের উপরেই দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট এখনও সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেনি। তাই এখনও উপরাজ্যপালই ওই ফাইলে সই করেতে পারেন, কোনও মন্ত্রী নয়।
আরও পড়ুন: একাই সরকার চালাচ্ছেন মোদী, ক্ষুব্ধ আরএসএস
এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন উপ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্য সচিব আমাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ‘সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট’ মন্ত্রীর নির্দেশ মানবে না। দফতর যদি নির্দেশ না মানে এবং বদলির ফাইলে উপরাজ্যপাল সই করেন, তাহলে সেটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করছি।’’
অন্যদিকে আমলাদের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই নির্দেশিকার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টই সিদ্ধান্ত নেবে। তার আগে কেজরীবাল সরকার এভাবে কাউকে বদলি করতে পারে না।
আরও পড়ুন: রোজ ৩৫০ কিলোমিটার পাড়ি দেন এই মন্ত্রী, কেন জানেন?
দিল্লির উপরাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত প্রথম প্রকাশ্যে আসে এই ‘সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট’ থেকেই। তিন বছর আগে ক্ষমতায় আসার পরই শকুন্তলা গ্যামলিনকে অন্তর্বর্তী মুখ্যসচিব নিয়োগ করেন উপরাজ্যপাল। কেজরীবালের তীব্র আপত্তি উপেক্ষা করেই তাঁকে ওই পদে বসান উপরাজ্যপাল। তারপর থেকেই কেজরীবাল ও তাঁর মন্ত্রীরা বারবার অভিযোগ করে আসছেন, তাঁদের কোনও কিছু না জানিয়েই যখন-তখন আমলাদের বদলি করা হচ্ছে। সেই থেকে সংঘাত ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত শীর্ষ আদালতে গড়ায়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ সেই মামলার রায় দেওয়ার পরও যে সংঘাতে দাঁড়ি পড়েনি, এই ঘটনায় ফের তা প্রকাশ্যে চলে এল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy