Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

ইভিএমে কারচুপি! ফেরাতে হবে ব্যালট, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে ২০ দলের বিরোধী জোট

সিংভি বলেন, ‘‘আমাদের স্বচ্ছতার দাবিকে গুরুত্বই দিচ্ছে না কমিশন। তাই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই।’’

নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বিরোধী দলের নেতারা। ছবি: পিটিআই

নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বিরোধী দলের নেতারা। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:১৪
Share: Save:

একের বদলে বিধানসভা পিছু পাঁচটি ভিভিপ্যাটের স্লিপ মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা। তাদের দাবি, ইভিএমের সঙ্গে ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ মিলিয়ে দেখতে হবে। এই দাবি নিয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিরোধীদের সম্মিলিত জোট। রবিবার দিল্লিতে অধিকাংশ বিরোধী দলগুলির বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি। বিষয়টিতে কমিশন গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সিংভি। বিরোধীদের পক্ষে চন্দ্রবাবু নায়ডু আবার ইভিএমে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থাই তুলে দিয়ে ব্যালটে ভোট নেওয়ার পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ছেন।

লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই ইভিএম নিয়ে সরব ছিল বিরোধীরা। কলকাতায় ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র‌্যালিতে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা ইভিএম-কে ‘চোর মেশিন’ বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সরব ছিলেন বিরোধী মহাজোটের অন্য নেতা-নেত্রীরাও। এর মধ্যেই বিরোধীদের করা একটি মামলায় গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে একটি নির্দেশিকায় জানিয়ে দেয়, দেশের সর্বত্র বিধানসভা পিছু ৫টি বুথের ইভিএমের ফলাফল ভিভিপ্যাটের স্লিপ মিলিয়ে দেখতে হবে।

গত ১১ এপ্রিল সারা দেশের সঙ্গে প্রথম দফাতেই অন্ধ্রপ্রদেশ সব লোকসভা আসনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যের মোট ১৭৫টি আসনের ভোটও নেওয়া হয়েছে। ফলে ভোটপর্ব কার্যত মিটে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। কিন্তু ইভিএম নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে দেখা করে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ১৫০ বিধানসভা আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু।

আরও পড়ুন: স্মৃতির ডিগ্রি বিভ্রাট! লখনউয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের কংগ্রেস নেতার

ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের নেতৃত্বে মূলত এই চন্দ্রবাবু নায়ডুই। দিল্লিতে রবিবার বৈঠকে বসেন বিরোধীদের মহাজোটের নেতারা। বৈঠকে ঠিক হয়, আইনি পথেই লড়াই করবে বিরোধীরা। পরে সাংবাদিক বৈঠকে সিংভি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন বলছে, সব ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখতে গেলে গণনা শেষ করতে পাঁচ দিনেরও বেশি সময় লাগবে। আমরা কমিশনকে বলেছি, আরও লোক বাড়াতে। তাহলেই আর পাঁচ দিন সময় লাগবে না।’’ কমিশনের দিকে অভিযোগের তির ছুড়ে সিংভি আরও বলেন, ‘‘আমাদের স্বচ্ছতার দাবিকে গুরুত্বই দিচ্ছে না কমিশন। তাই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই।’’

তবে চন্দ্রবাবুর দাবি, ইভিএমে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থাই ত্রুটিপূর্ণ। ইভিএম হ্যাক করা সম্ভব। যে কোনও সময় বিগড়ে যেতে পারে। ফলে ইভিএম তুলে দিয়ে ফের ব্যালটে ভোটগ্রহণের পদ্ধতিই ফিরিয়ে আনা হোক বলেও তাঁর দাবি। স্বপক্ষে যুক্তি দিতে তুলে ধরেছেন জার্মানি, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের মতো দেশের। এই দেশগুলি ত্রুটিপূর্ণ বলে ইভিএম বাতিল করে আবার ব্যালটে ফিরে গিয়েছ।

আরও পডু়ন: গরিবদের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ, মোদীর প্রতিশ্রুতিকে কটাক্ষ করে ডাবস্ম্যাশ ভিডিয়ো লালুর

অন্য দিকে চন্দ্রবাবু নায়ডু যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে দাবি দাওয়া জানাতে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যে দল নিয়ে চন্দ্রবাবু সুনীল অরোরার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তাতে টিডিপির এক কর্মী হরিপ্রসাদ ভেমুরু ছিলেন। দলের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয়, তিনি দেখাতে পারেন, কী ভাবে ইভিএম হ্যাক করা যায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন পাল্টা দাবি করে, এই ভেমুরু ২০১০ সালে একটি ইভিএম চুরিতে অভিযুক্ত। তার জবাবে চন্দ্রবাবু বলেন, আসল সমস্যায় গুরুত্ব দিচ্ছে না কমিশন। ফল

অন্য বিষয়গুলি:

Opposition VVPAT EVM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE