গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ঘৃণা-ভাষণের জন্য সোমবারই নির্বাচন কমিশন তাঁর নির্বাচনী প্রচারে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র সুপ্রিমো মায়াবতী। কিন্তু শীর্ষ আদালত মায়ার আবেদন খারিজ করে দেয়।
নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরেও বিভিন্ন দলের রাজনীতিকরা একের পর এক বিদ্বেষমূলক মন্তব্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কী করছে, সে প্রশ্ন তুলে সোমবারই তাদের তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘৃণা-ভাষণের অভিযোগে মায়াবতী ও যোগী আদিত্যনাথের নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। ৭২ ঘণ্টার জন্য যোগী আদিত্যনাথের এবং ৪৮ ঘণ্টার জন্য মায়াবতীর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার কমিশনের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন মায়াবতী। কিন্তু তা সরাসরি খারিজ করে দেয় আদালত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, “মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন এ বার জেগে উঠেছে আমাদের নির্দেশে। রাজনীতিকদের প্রাচরে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে শুরু করেছে। এ থেকে স্পষ্ট যে পুনরায় আদালতকে আর এমন নির্দেশ দিতে হবে না।”
আরও পড়ুন: ‘আরএসএস সদলে বাংলায় এসে কংগ্রেসের হয়ে দু’টি আসনে খাটছে’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সম্প্রতি দেওবন্দে এক জনসভায় গিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মায়াবতীর বিরুদ্ধে। কংগ্রেস এবং তাঁদের জোটের মধ্যে কোনও ভাবেই যেন ভোট ভাগ না হয়, এমন হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মায়ার বিরুদ্ধে। যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধেও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। জয়প্রদা সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে সমাজবাদী পার্টি নেতা আজম খানের বিরুদ্ধে। তার পরই ৭২ ঘণ্টার জন্য তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy