সিদ্দারামাইয়া। —ফাইল চিত্র।
জমি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়াকে তলব করল কর্নাটকের লোকায়ুক্ত পুলিশ। আগামী ৬ নভেম্বর (বুধবার) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লোকায়ুক্ত পুলিশের দফতরে হাজির হতে তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ‘মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগ’ (মুডা)-এর জমি বেআইনি ভাবে বিলি করার অভিযোগে সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী পার্বতী, শ্যালক মল্লিকার্জুন স্বামী এবং দেবরাজু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল লোকায়ুক্ত পুলিশ। পার্বতীকে নোটিস পাঠিয়ে তলব করে গত ২৫ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, তথ্যের অধিকার কর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই সংক্রান্ত মামলার সূত্রপাত। গত অগস্টে রাজ্যপাল থাবরচন্দ গহলৌত মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিচার শুরুর অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় কর্নাটক হাই কোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দিয়ে পরে এমপি-এমএলএ আদালতে ফেরত পাঠায়। এর পর বেঙ্গালুরুর বিশেষ এমপি-এমএলএ আদালত অভিযোগের তদন্ত করার জন্য মহীশূরের লোকায়ুক্ত পুলিশকে নির্দেশ দেয়।
অভিযোগ, সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীকে অধিগৃহীত জমির তুলনায় অনেক বেশি মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ ও ভাল জমি ক্ষতিপূরণ হিসেবে মহীশূর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এমইউডিএ) পাইয়ে দিয়েছেন। প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে এফআইআরে নাম রয়েছে সিদ্দারামাইয়ার। সঙ্গে রয়েছে তাঁর স্ত্রী পার্বতী, শ্যালক মল্লিকার্জুন স্বামী এবং জনৈক দেবরাজুর নাম। দেবরাজুর থেকে জমি কিনে মল্লিকার্জুন উপহার দিয়েছিলেন পার্বতীকে।
মহীশূরের কাসারে গ্রামে মোট ৩.১৬ একর জমির ক্ষতিপূরণে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কর্নাটক বিজেপি অভিযোগ করেছে, টাকার অঙ্কে দুর্নীতি হয়েছে প্রায় চার হাজার কোটির। আরও অভিযোগ, ওই ৩.১৬ একর জমির আইনি নথিও ছিল না পার্বতীর কাছে। সিদ্দারামাইয়া অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, আইন মেনেই সব হয়েছে। কোনও অনিয়ম হয়নি। অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আরও বেশি করে সরব হয়েছেন কর্নাটকের বিজেপি নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy