প্রতীকী চিত্র।
উত্তর প্রদেশের তিন পুলিশ কর্মী এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সবার চর্চার বিষয়। দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁরা নিজেদের বিয়ে পিছিয়ে দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের জেরে বাড়ছে লকডাউন। এই সময় তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব পালনকেই আগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডলে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের তিন পুলিশ কর্মীর কথা। যাঁদের কারও মার্চে কারও মে মাসে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কর্তব্যের জন্য তাঁরা তা পিছিয়ে দিয়েছেন।
কানপুরের কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল দীপক সিংহ-এর আগামী ৬ মে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি তাঁর থানা এলাকায় ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছনোর কাজ করছেন। সেই দায়িত্বের কথা ভেবে এবং লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। বিয়ের জন্য ডিসেম্বরে কোনও তারিখের কথা ভাবছেন তিনি। তবে তার আগে এখন ভাবছেন তাঁর ডিউটি নিয়ে।
আরও পড়ুন: ‘শাহরুখকে আর এমন স্টান্ট করতে হবে না’, করোনা সচেতনতায় বার্তা পুলিশের
কনস্টেবল রশিদ আলি সঞ্চেদি থানায় কর্তব্যরত। বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল ৩০ মে, ছুটিও পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিজেই সেই ছুটি বাতিল করিয়েছেন। বিয়ের জন্য হল ভাড়া হয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে আয়োজন মোটের উপর অনেকটাই এগিয়ে যায়। এখন বিয়ে পিছিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচুর টাকার আর্থিক ক্ষতি হবে। কিন্তু তাও তিনি ডিউটি ছেড়ে বিয়ে করতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনার মাঝেই জাভা দ্বীপের গ্রামে ‘ভূতের’ উৎপাত শুরু!
দীপক, রশিদ ছাড়াও এক মহিলা কনস্টেবলের কথাও তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। তাঁর বিয়ের তারিখ ছিল মার্চে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তিনি বিয়ে করতে চাননি। তিনিও ছুটি বাতিল করিয়ে, বিয়ে পিছিয়ে দিয়েছেন। আপাতত নিজের কর্তব্য পালনে ব্যস্ত।
তিন পুলিশ কর্মীর এমন ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার পর ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। প্রচুর নেটাগরিক তাঁদের প্রশাংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন, স্যালুট জানিয়েছেন।
দেখুন সেই পোস্ট:
#UPPInNews
— UP POLICE (@Uppolice) April 13, 2020
शादी की रस्में छोड़ ड्यूटी का फर्ज निभा रहे पुलिस के जाबांज pic.twitter.com/1rOuSYUknx
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy