দুর্ঘটনায় দুমড়ে গিয়েছে গাড়ি। ছবি: এএনআই।
ঘন কুয়াশার জেরে বিপত্তি। সাত সকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা হরিয়ানার ঝাজ্জরে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৫০টি গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন আট জন, যাঁদের মধ্যে ছ’জনই মহিলা। জখম হয়েছেন অনেকে। এখনও ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করার কাজ চলছে। তাই মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
চলতি সপ্তাহে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটাই নেমে গিয়েছে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে গিয়েছে চারিদিক। তার জেরে কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা ৫০০ মিটারেরও কম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেসোমবার সকালে দিল্লি ও হরিয়ানার মাঝে রোহতক-রেওয়ারি ৭১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বদলি উড়ালপুলেদুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি স্কুল বাস-সহ প্রায় ৫০টি গাড়ি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশের একটি দল। ভাঙাচোরা গাড়ির মধ্যে থেকে আটকে পড়া মানুষকে টেনে বের করে আনা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে দু’টি গাড়ির মধ্যে ধাক্কা লাগে। তার উপর পিছন থেকে একের পর এক গাড়ি এসে পড়ে। মৃত ৮ জন একই পরিবারের সদস্য। এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দিল্লির নজফগড় যাচ্ছিলেন তাঁরা। দুর্ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের রোহতকের পণ্ডিত বিডি শর্মা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ওই উড়ালপুলে ২ কিলোমিটার লম্বা যানজট সৃষ্টি হয়।
ভিডিয়ো সৌজন্য: এবিপি নিউজ।
আরও পড়ুন: রথযাত্রা চেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিজেপির
আরও পড়ুন: ঘরে ঘুমাচ্ছেন সুন্দরাইয়া, বারান্দায় শুয়ে থাকতেন স্বেচ্ছাসেবক নিরুপম
ঘন কুয়াশার জেরে দু’দিন আগেই পঞ্জাবের রাজপুরায় ৪৪ নং জাতীয় সড়কেরর উপর দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় ২০টি গাড়ি। তবে সে বার কেউ হতাহত হননি। তবে এখনই কুয়াশা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা স্কাইমেট। বরং আগামী কয়েক দিনে উত্তর ভারতের পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের উত্তরাংশ, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। অন্য দিকে, রবিবার রাতে হরিয়ানার জিন্দে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যনারায়ণ লাথারের। পায়ে হেঁটেই ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে তাঁকে ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যায় একটি গাড়ি। এখনও পর্যন্ত গাড়িটির হদিশ মেলেনি। তাই জানা সম্ভব হয়নি যে ঘন কুয়াশার জেরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy