কে বলবে সরকারি হাসপাতাল! পুরুলিয়া হাসপাতালের সিসিইউ ওয়ার্ড। বৃহস্পতিবার উদ্বোধনের পরে ছবি তুলেছেন সুজিত মাহাতো।
চিকিৎসকদের একাংশ বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের বিষয়ে যতটা আগ্রহী, হাসপাতালের কাজে ততটা দায়বদ্ধ নন। শুক্রবার পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই অভিযোগ তুললেন জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো। এ দিন তিনি বলেন, “কোন পরিষেবা শুরু হয়, কিন্তু তা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব নিতে হয়।” উপস্থিত চিকিতসকদের কাছে তিনি আশা প্রকাশ করেন, “আজ এই যে পরিষেবা এখানে শুরু হল, তা ভালভাবেই চলবে বলে আশা করি।”
এ দিন নবান্ন থেকে পুরুলিয়ায় এই ইউনিটের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “এই ওয়ার্ড গড়ে তুলতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। ১২টি শয্যা রাখা হচ্ছে। তারমধ্যে ৪টি শয্যা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে করোনারির জন্য।” তিনি জানান, গত ডিসেম্বরে এই ওয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। আগামী ৯ জুলাই থেকে এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হুটমুড়ার প্রকাশ্য প্রশাসনিক সভা থেকে এই ইউনিট এখানে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তা চালুও করা হল।”
সভাধিপতির অভিযোগের জবাবে প্রোগ্রেসিভ ডক্টরর্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক চিরঞ্জীব মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, “সভাধিপতি যে কথা বলেছেন তা পুরোপুরি অস্বীকার করা যাবে না। তবে এখন হাসপাতালে নিজের কাজ সম্পর্কে প্রায় সব চিকিৎসকই ওয়াকিবহাল। তাঁরা সেই পরিষেবা দিচ্ছেনও।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy