ঝাঁ চকচকে ভবন তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। এখানে অন্তর্বিভাগ চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্তর্বিভাগ চালু হওয়া তো দূরের কথা, প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে বহির্বিভাগের চিকিত্সকই নেই। ফলে ফার্মাটিস্ট দিয়েই চলছে বহির্বিভাগের চিকিত্সার কাজ। চিত্রটি হাওড়ার আমতা ২ ব্লকের ভাটোরা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।
রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরী নদী পরিবেষ্টিত ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া-চিত্নান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে ভাটোরা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রই চিকিত্সার একমাত্র সম্বল গ্রামবাসীদের কাছে। বছর দশেক আগে এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে ১০ শয্যার অন্তর্বিভাগ চালু করা সিদ্ধান্ত নেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেইমতো তৈরি হয় ভবনও। কিন্তু ওই পর্যন্তই। অন্তর্বিভাগ চালু করার জন্য না নিয়োগ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় চিকিত্সক, না নিয়োগ হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী বা নার্স। ফলে অন্তর্বিভাগ আর চালু হয়নি।
উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহির্বিভাগটির অবস্থাও শোচনীয়। যখন চিকিত্সক ছিলেন, তখন গড়ে দৈনিক দেড়শোরও বেশি রোগী আসতেন। এখন চিকিত্সক না থাকা সত্ত্বেও অ্যালোপ্যাথি বিভাগে দৈনিক ৩০-৪০ জন করে রোগী আসেন। এ ছাড়াও এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছে হোমিওপ্যাথি বিভাগ। সেখানেও গড়ে ৪০-৫০ জন করে রোগী আসেন। অ্যালোপ্যাথি বিভাগে ফার্মাটিস্টই রোগী দেখেন।
তবে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধের অভাব নেই। ফার্মাটিস্ট কেশব রায় বলেন, “ওষুধ রয়েছে। তাই রোগীদের চিকিত্সা করি। ওষুধ থাকবে অথচ রোগীরা তা পাবেন না এটা তো আর হতে পারে না।” একই হাল হোমিওপ্যাথি বিভাগেরও। এই বিভাগেও চিকিত্সক নেই। ফলে এই বিভাগের ফার্মাটিস্ট রোগীদের চিকিত্সা করান। চিকিত্সক না থাকলেও অ্যালোপ্যথি বিভাগে ফার্মাটিস্ট-সহ পাঁচজন কর্মী রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্সক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি, অন্তর্বিভাগটিকেও চালু করতে হবে।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায় বলেন, “সমস্যাটির কথা স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। চিকিত্সক নিয়োগের বিষয়টি তাঁরাই ঠিক করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy