Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

হ্যাপি টেডি ডে, কী ভাবে জন্ম হল টেডি বেয়ারের?

আজ টেডি ডে। ভালবাসার উপহার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় টেডি বেয়ার। প্রেমিক-প্রেমিকাকে উপহার দিলে যেমন উষ্ণতা বা়ড়ে সম্পর্কে, তেমনই উপহার হিসেবে শিশুদেরও দারুণ পছন্দ টেডি বেয়ার। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই সফট টয়-এর জন্মের পিছনে রয়েছে এক দারুণ গল্প। কী ভাবে জন্ম হল টেডি বেয়ারের। পড়ুন তবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৫:০০
Share: Save:

আজ টেডি ডে। ভালবাসার উপহার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় টেডি বেয়ার। প্রেমিক-প্রেমিকাকে উপহার দিলে যেমন উষ্ণতা বা়ড়ে সম্পর্কে, তেমনই উপহার হিসেবে শিশুদেরও দারুণ পছন্দ টেডি বেয়ার। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই সফট টয়-এর জন্মের পিছনে রয়েছে এক দারুণ গল্প। কী ভাবে জন্ম হল টেডি বেয়ারের। পড়ুন তবে।

১৯০২ সালের নভেম্বর মাসে মিসিসিপিতে শিকারে বেরিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট। মিসিসিপি ও লুসিয়ানিয়ার সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তখন জর্জরিত তিনি। অনেকক্ষণ খুঁজেও সে দিন ভাল শিকার পাননি রুজভেল্ট। এ দিকে নিশপিশ করছে রাইফেলেন ডগা।

প্রেসিডেন্টকে খুশি করতে তাঁর সঙ্গীসাথীরা ধরে আনেন এক লুসিয়ানিয়া কালো ভল্লুক ছানা। কিন্তু গাছের গুঁড়িতে বেঁধে রাখা ভল্লুক ছানার উপর গুলি চালাতে মন চায়নি রুজভেল্টের। ছোট্ট ছানাটিকে ছেড়ে দেন তিনি।

‘ড্রইং দ্য লাইন ইন মিসিসিপি’ কার্টুনে এই গল্প তুলে ধরেন ওয়াশিংটন স্টার কার্টুনিস্ট ক্লিফর্ড বেরিম্যান। ছবিতে তিনি আঁকেন টেডি রুজভেল্ট রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর পিছনে পুঁচকে এক ভল্লুক ছানা।

এই কার্টুন দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ব্রুকলিনের খেলনার দোকানের মালিক মরিস মিচম। তিনি বানিয়ে ফেলেন মিষ্টি এক টেডি বেয়ার। তবে তা বিক্রি করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। দোকানের জানলার পাশে সাজিয়ে রাখেন টেডি। পাশে বেরিম্যানের আঁকা কার্টুনের কপি।

তাঁকে অবাক করে খদ্দেররা দোকানে ঢুকেই কিনতে চান টেডি। মিচম ছুটে যান রুজভেল্টের কাছে। তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর বানানো বেয়ার বিক্রির অনুমতি চান। জন্ম হয় টেডি বেয়ারের। ১৯০৩ সালে তৈরি হয় আইডিয়াল টয় কোম্পানি।

বাকিটা ইতিহাস।

আরও পড়ুন: টেডি ডে-তে মনের মানুষকে গিফট করুন হাতে তৈরি নরম পুতুল

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE