আগে কেউই ঠিকঠাক আঁচ করতে পারেননি, সদ্য জন্মানো শিশুদের মাথাটা অমন অদ্ভুত রকমের হচ্ছে কেন?
ঠিক গোলগাল মাথা নয়। যদিও পুরোপুরি গোলগাল মাথা একমাত্র ‘সিজার বেবি’দের ক্ষেত্রেই ঘটে।
কিন্তু ওই সদ্যোজাতদের মাথাটা ছিল একেবারেই অন্য রকমের। একটু ব্যাঁকা-ত্যাড়া। যাকে বলে কপাল, সেই চোখের ওপর ভুরু থেকে মাথার সামনের অংশটা প্রায় নেই বললেই চোখে। যেন ভুরুর পরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে মাথার চুল! ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলে, ‘মাইক্রোসেফ্যালি’।
আরও পড়ুন- অচেনা আতঙ্ক জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে
ব্রাজিলে কার্নিভাল, জিকার ভয়ে বারণ চুমুতেও
বাইরে থেকে শিশুগুলিকে দেখতে ছিল ওই রকমই। আর তাদের মুখে ‘র্যাশ’ বেরোত। চোখটা সব সময়েই টকটকে লাল হয়ে থাকত। ঠাণ্ডা লাগলে যেমন হয়।
ব্রাজিলে ওই রোগটার নাম ছিল ‘ডোয়েঙ্কা মিসটারিওসা’। যার মানেটা হল, বিদঘুটে রোগ! একটা-দু’টো ঘটনা নয়। ২০১৩ সালেই ব্রাজিলে প্রথম দেখা যায় ওই রোগ। ২০১৫ সালে ওই অদ্ভুত রকমের মাথা নিয়ে জন্মানো শিশুদের সংখ্যাটা এমন জায়গায় পৌঁছল যে তাকে উপেক্ষা করা যায় না। চিকিৎসকেরা প্রথমে ভেবেছিলেন, ওটা বোধ হয় কোনও অ্যালার্জি থেকেই হচ্ছে। ব্রাজিলীয় ভাষায় যাকে বলে, ‘রোসেওলা’।
প্রথমে সন্দেহটা হয়েছিল সালভাদরের ফেডারাল ইনস্টিটিউট অফ বাহিয়ার ভাইরোলজিস্ট গুবিয়ো সোয়ারেসের। তাঁর মনে হয়েছিল, ওই ব্যাপারটা বোধ হয় হচ্ছে কোনও মশা-বাহিত রোগ থেকেই। ২০১৫-র এপ্রিলেই সোয়ারেস ও তাঁর ছাত্রী সিলভিয়া সার্দি নিশ্চিত হন, ওই ঘটনাটা ঘটছে জিকা ভাইরাসের জন্য। জটিল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy