প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
সারাক্ষণ মনমরা লাগছে? নিজের যত্ন নেওয়া, নিজেকে ভাল রাখা এই সময় সবচেয়ে বেশি জরুরি। ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে দিয়ে সেটা সম্ভব। জেনে নিন কী ভাবে।
মনের কথা লিখুন
লকডাউনের পর থেকেই দিশার মন ভাল নেই। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারছে না। কাজ-কর্ম কিছুই এগোচ্ছে না। ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় তার মন সারাক্ষণ অশান্ত হয়ে থাকত। তারপর সে রোজ একটা ডায়েরি লেখা শুরু করে। কী করতে ইচ্ছে করছে, কী থেকে মন খারাপ হচ্ছে, কী নিয়ে ভয় পাচ্ছে— মনের সব কথা লিখে ফেলত ডায়েরিতেই। এক সপ্তাহ রোজ সকালে নিয়ম করে ডায়েরি লেখার পর সে দেখল মন অনেক শান্ত হয়ে গিয়েছে। আপনিও শুরু করে দেখুন। দিনের যে কোনও একটা সময় লিখতে পারেন। হয়তো উপকার পাবেন।
এক্সারসাইজ
শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। এই রোগ-ব্যধির মধ্যে শরীর চাঙ্গা রাখতে রোজ এক্সারসাইজ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে মন ভাল রাখতেও শরীরচর্চার অবদান অনেক। মন উদ্বিগ্ন হয়ে গেলে ধ্যান করুন। অশান্ত পরিস্থিতিতে নিঃশ্বাসের ব্যয়াম করুন। শারীরিক পরিশ্রম করলে আমাদের শরীরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ হয়, যা মন ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
না বলতে শিখুন
অনেককে সাহায্য করতে গিয়ে একটু বেশি হাঁপিয়ে যাচ্ছেন কি? প্রিয় বন্ধুর একই সমস্যার কথা আর শুনতে ইচ্ছে করছে না? তাহলে সেটা স্পষ্ট করে বলুন। ‘না’ বলতে পারাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, এতে আপনি খারাপ মানুষ হয়ে যাচ্ছেন না। শুধু নিজের ইচ্ছে-অনিচ্ছেগুলো এগিয়ে রাখছেন।
খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিন
ঘরবন্দি থেকে অনেকের দমবন্ধ হয়ে আসে। খোলা হাওয়ায় শ্বাস নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। একটু গায়ে রোদ লাগানোও দরকার। ভিটামিন ডি যাবে শরীরে। পার্কে হাঁটতে যেতে না পারলে নিজের আবাসনের মধ্যে হাঁটতে পারেন। কিংবা সেই উপায়ও না থাকলে বাড়ির ছাদে হাঁটাহাঁটি করুন।
ভাল করে ঘুমান
রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন সকলেরই। কিন্তু বিষয়টা শুধু সেটা নয়। লকডাউনের অনেকেরই কোনও রুটিন থাকে না। সকালে যখন ইচ্ছে উঠলাম, দুপুরে অনেকটা ঘুমিয়ে নিলাম, অনেক রাত জেগে নেটফ্লিক্সে চালিয়ে বসে থাকলাম। এগুলো কোনওটাই আপনার পক্ষে ভাল নয়। একই সময় ঘুমনোর এবং ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। দিনের একটা রুটিন তৈরি করে নিন। সেই মতো রোজকার কাজ করুন। তবেই শরীর-মন দুই-ই ভাল থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy