বেড়াতে গিয়ে কেন বিছানা আলাদা হচ্ছে দম্পতিদের? ছবি: সংগৃহীত।
দু’জনে মিলে পাহাড়ে গিয়েছেন। সকালে ঘুম চোখে জীবনসঙ্গীর কাঁধে মাথা রেখে দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়। এমন মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করা যায় কয়েক যুগ। কিন্তু সুযোগ থেকেও এমন মুহূর্ত তৈরি হয় না অনেক ক্ষেত্রেই। কারণ, বেড়াতে গিয়ে দু’জনের ঘুমোনোর জায়গা দু’টি দিকে যায় বেঁকে। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা তেমনটাই বলছে। হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে সারা দিন কাটলেও রাতে দু’জন দু’ঘরে, আলাদা বিছানায়। এটাই নাকি সাম্প্রতিক ট্রেন্ড! যার নাম ‘স্লিপিং ডিভোর্স’।
ঘুমের সময় এই সাময়িক বিচ্ছেদ হয় যৌথ সিদ্ধান্তেই। রাগ, অভিমান, বিরহ হলে মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাকে। এক জন খাটে ঘুমোলে অন্য জন বালিশ নিয়ে সোজা চলে যান ড্রয়িংরুমের সোফায়। দু’-এক দিন এমন চলে। মানভঞ্জন পর্ব মিটলে ফের পুরনো রুটিনে ফেরেন। রোজের জীবনে এমন আকছার ঘটে। তবে সেটাকে ‘স্লিপিং ডিভোর্স’ বলা চলে না। একসঙ্গে সময় কাটাবেন বলে বেড়াতে গিয়ে আলাদা রাত্রিযাপন এখন চর্চার বিষয়।
ভার্জিনিয়ার এক ভ্রমণ সংস্থা এই বিষয়টি নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। তাদের রিপোর্ট বলছে, ৬৩ শতাংশ দম্পতি বেড়াতে গিয়ে আলাদা ঘুমোন। একই বিষয় নিয়ে সমীক্ষা করেছে ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন’। তাদের সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, বেড়াতে গিয়ে স্বেচ্ছায় আলাদা ঘরে ঘুমোন দম্পতিরা। এর নেপথ্যে কোনও মন কষাকষির গল্প নেই। বরং একঘেয়ে জীবনের বাইরে গিয়ে কয়েকটি দিন যাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারেন, সেই ভাবনা থেকেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এই সমীক্ষার পর অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে, তবে কি একসঙ্গে ঘুমোনোয় শান্তি নেই? বিষয়টি অতটাও জটিল নয়। অনেকেরই নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে। সারা বছর নাক ডাকার গর্জন সহ্য করে নিলেও, বেড়াতে গিয়ে সেটা চাইছেন না। আবার অনেকেই একা বিছানায় ঘুমোতে ভালবাসেন। বাড়িতে সেটা সব সময় সম্ভব না হলেও, ঘুরতে গিয়ে নিজের স্বস্তিই বেছে নিচ্ছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy