আঙুলের ডগায় সুচ ফোটানোর ঝক্কি নেই। রক্তে শর্করার মাত্রা কমছে না বাড়ছে, তা দিব্যি জেনে নেওয়া যাচ্ছে স্মার্টফোনেই। গ্লুকোজ় মনিটর দিয়ে দিনের কোন সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ছে আর কোন সময়ে কমছে, তা দিব্যি জেনে নেওয়া যায়। মানুষের জন্য গ্লুকোজ় মনিটর বহু দিন আগেই এসে গিয়েছে। এ বার পোষ্য কুকুরের জন্যও গ্লুকোজ় মনিটর এল। গায়ে লাগিয়ে রাখলে, সর্ব ক্ষণের জন্য রক্তে শর্করার ওঠানামা নজরে রাখা যাবে।
মুম্বইয়ে বছর তিনেকের একটি কুকুরের গায়ে লাগানো এমন গ্লুকোজ় মনিটরের ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। পোষ্যের অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, ডিভাইসটির নাম ‘কন্টিনিউয়াস গ্লুকোজ় মনিটর’ (সিজিওম)। সেটি পোষ্যের গায়ে লাগিয়ে রাখলে, তার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ছে কি না, তা বোঝা যাবে। মোবাইল অ্যাপে সারা দিনই সেই ডেটা নজরে রাখা যাবে। কুকুরটির ডায়াবিটিস ধরা পড়ার পরে তার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে হয়েছিল প্রতি ডেসিলিটারে ৪০০ মিলিগ্রাম। যখন তখন অসুস্থ হয়ে পড়ত সে। সে কারণেই সর্ব ক্ষণের গ্লুকোজ় মনিটরের প্রয়োজন ছিল তার।
মানুষের মতো কুকুরেরও ডায়াবিটিস হয়। পোষ্যের যদি বার বার জল তেষ্টা পায়, ঘন ঘন প্রস্রাব হতে থাকে, চোখ ঘোলাটে হয়ে আসে, তা হলে সাবধান হতেই হবে। ডায়াবিটিস হলে পোষ্য কুকুরের ওজন আচমকা কমে যেতে পারে। প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। সারা ক্ষণ ঝিমুনি দেখা দেয়। চনমনে ভাবটা আর থাকে না। যে হেতু মানুষের মতো আঙুলের ডগায় সুচ ফুটিয়ে শর্করা মাপার কোনও পদ্ধতি নেই কুকুরদের, সে জন্যই শর্করার ওঠানামা ধরতে হলে পশুরোগ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া গতি নেই। সেই সমস্যার সমাধানেই গ্লুকোজ় মনিটর নিয়ে আসা হয়েছে পোষ্যদের জন্যও।
আরও পড়ুন:
এই গ্লুকোজ় মনিটরের ডিভাইসটি কুকুরের সামনের গায়ে লাগিয়ে রাখা যায়। যন্ত্রটি দেখতে ছোট্ট গোল চাকতির মতো। সেটি গায়ে লাগিয়ে রাখলেই রক্তে শর্করার মাত্রা কখন কেমন, সেই ডেটা জানা যাবে। মোবাইল অ্যাপের সঙ্গে ডিভাইসটি লিঙ্ক করে রাখলেই ডেটা দেখা যাবে।
পোষ্যদের জন্য গ্লুকোজ় মনিটর যে কোনও অনলাইন শপিং সাইটে পাওয়া যাবে। ভাল ব্র্যান্ডের মনিটরের দাম শুরু হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যেও রয়েছে। এর বেশি দামের মনিটরও পাবেন। দাম ১০ হাজারের বেশি হলে মনিটরের সঙ্গে রিডার ও বায়োসেন্সরও থাকবে।