চা-কফি নয়, ব্রেকফাস্টে খুঁজুন উপকারী বিকল্প। ছবি: শাটারস্টক।
শরীর ভাল রাখার অন্যতম উপায় সময় মতো খাওয়া এবং খাবার পাতে পুষ্টিকর খাবার রাখা। সারা দিনের খাবারে নজর রাখতে গিয়ে অনেকেই অবহেলা করেন ব্রেকফাস্টকে। হয় যা হোক করে সকালের খাওয়া সারেন কেউ কেউ, আবার কখনও দেখা যায় স্রেফ চা-বিস্কুট খেলেই ব্রেকফাস্টের কাজ সারা বলে মনে করেন অনেকে।
আপনিও কি তাঁদের দলেই পড়েন? তা হলে সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। বরং ব্রেকফাস্টে চা-কফিকে ব্রাত্য করার পরামর্শই দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, চা ও কফি মূলত উত্তেজক পানীয়। প্রতি দিন এই ধরনের পানীয় নির্দিষ্ট সময় ধরে খেলে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। ক্যাফিনের প্রতি আসক্তি জন্মানোও বিস্ময়কর নয়। আর প্রতি দিন চা বা কফি খাওয়া শরীরের জন্যও ভাল নয়। চিনি বাদ দিয়ে লাল চা খান বা চিনি বাদে কালো কফি— কোনওটাই একটানা খাওয়া উচিত নয়।
পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, ‘‘শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায় রোজ সকালটা ক্যাফিন আসক্তি দিয়ে শুরু করলে। বরং গ্রিন টি যদি খেতে পারেন, তা হলে তা কিছুটা উপকার দেয়। তবে শরীরকে সতেজ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর রাখতে মাঝে মাঝে ব্রেকফাস্টের তালিকায় স্বাস্থ্যকর কিছু পানীয় রাখুন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান এক-একটা।’’ জানেন কি আপনার ব্রেকফাস্টের তালিকায় কোন কোন পানীয় সহজেই ঠাঁই পেতে পারে, চা-কফির চেয়েও উপকারী হিসাবে?
আরও পড়ুন: গান অসুখ সারাতেও সাহায্য করে, কোন রোগে উপকারী কোন রাগ?
ব্রেকফাস্ট শুরু করুন ভারী খাবার দিয়ে। খাদ্য পিরামিড মেনে দিনের প্রথম খাবারটা সবচেয়ে ভারী হওয়া খুবই দরকার। তাই ব্রাউন ব্রেড বা ওটস-মুশলি-ডিম সেদ্ধর সঙ্গে রাখুন লেবুর রস মেশানো এক গ্লাস গরম জল। প্রথমেই খালি পেটে খেয়ে নিন জল। তার পর খাবার খান। এতে খাবারের মাত্রা ও পরিমাণও বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। তা ছাড়া শরীরকে টক্সিনমুক্ত করতে লেবু-জল অত্যন্ত কার্যকর। এই উপকার চা-কফি থেকে মেলে না। ভারী খাবারের সঙ্গে পাতে রাখতে পারেন মরসুমি ফলের রস। তবে দোকান থেকে কিনে আনা প্যাকেটজাত ফলের রস নয়। বাড়িতেই জুশারে রস করে খেতে পারেন। এতে প্রিজারভেটিভসের ভয় থাকে না। তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি গোটা ফল চিবিয়ে খেতে পারেন। উইটগ্রাসের রসে মেটাবলিজম বাড়ে। হজম প্রক্রিয়াকে বাড়ায়। তাই প্রতি দিনের ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন এই পানীয়ও।
আরও পড়ুন: ওজন কমানো থেকে সুস্থ শরীর, পাতে এই খাবার রাখলে আর চিন্তা নেই!
শরীর-সাস্থ্য নিয়ে এ সব তথ্য আগে জানতেন?
ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এ ছাড়া এই জল নিয়মিত খেলে বাজে কোলেস্টেরল কমে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে। ফলে হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ হয়। বিভিন্ন ফল দিয়ে বানানো স্মুদিও খেতে পারেন ব্রেকফাস্টে। শরীরের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বাড়াতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উনন্ত করতে এই ধরনের স্মুদি খুবই কার্যকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy