প্রতীকী ছবি।
করোনার ভুয়ো প্রতিষেধক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেশের নানা প্রান্তে। সপ্তাহ দুয়েক আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (হু) বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশ কিছু দেশকে। বলা হয়েছে, কোভিশিল্ডের নামে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষেধক মিলছে কিছু দেশে। এ বার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিছু নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র।
কী ভাবে বোঝা যাবে যে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে, তা ভুয়ো কি না? কী বলছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক?
আপাতত তিন ধরনের প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে ভারতে। কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক।
কোভিশিল্ড
১) এই প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থার নাম সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)। প্রতিষেধকের গায়ে সংস্থার নাম উল্লেখ করা থাকে। সেখানে ‘এসআইআই’ লেখা আছে কি না, দেখে নিতে হবে।
২) যে লেবেলে ‘এসআইআই’ লেখা থাকবে, তার রং হল গাঢ় সবুজ। সবুজের অনুমদিত শেড হল প্যানটোন ৩৫৫সি। সিলের অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের রংও গাঢ় সবুজ।
৩) ট্রেডমার্ক-সহ ব্র্যান্ডের নাম ( কোভিশিল্ড) লেখা থাকে শিশিতে।
৪) ওষুধের জেনেরিক নাম লেখা থাকে যেখানে, সেই অক্ষরগুলি ‘বোল্ড’ নয়।
৫) ওষুধের জেনেরিক নামের শেষে উল্লেখ করা থাকে রিকম্বিন্যান্টের কথা।
৬) ওষুধের নামের উপর দিয়েই লেবেলে ছাপা থাকে ‘সিজিএস নট ফর সেল’ কথাটি।
৭) এসআইআই-এর যে লোগো ব্যবহার করা হয় কোভিশিল্ডের বোতলের গায়ে, তা একটি বিশেষ কোণে দেওয়া থাকে। হাতে গোনা কিছু মানুষই শুধু বুঝতে পারবেন কী ভাবে সেই লোগো বসানোর কথা। ফলে যাঁরা নিয়মিত প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা দেখলেই বুঝতে পারবেন ঠিক স্থানে রয়েছে কি না চিহ্নটি।
৮) একটি বিশেষ ধরনের সাদা কালি ব্যবহার করা হয়েছে এই প্রতিষেধকের লেবেলে, যাতে সবটা স্পষ্ট ভাবে পড়া যায়।
৯) লেবেলটি ছাপার ক্ষেত্রেও বিশেষ একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। হানিকুম্ব এফেক্ট দেওয়া হয়েছে লেবেলে।
১০) কিছু জায়গায় হানিকুম্ব এফেক্টে বদল আনা হয়েছে। সবটা এক রকম রাখা হয়নি। একটু নাড়াচাড়া করলেই তা বোঝা যায়। যে কোনও কারও চোখেই যে এই লেবেলে ব্যবহৃত সব কারুকাজ ধরা পড়বে, তা নয়। সাধারণে যাতে সবটা না ধরতে পারেন, সে কারণেই এ ভাবে তৈরি হয়েছে জিনিসটি। কিন্তু যাঁরা প্রতিষেধক নিয়ে রোজ কাজ করছেন, তাঁরা দেখলেই বুঝতে পারবেন বোতলটি আসল না নকল প্রতিষেধকের।
কোভ্যাক্সিন
১) প্রতিষেধকের বোতলের গায়ে একটি ডিএনএ-র চিহ্ন ছাপা রয়েছে। কিন্তু খালি চোখে তা দেখা যায় না। শুধু অতিবেগুনি রশ্মিতেই তা দেখা যাবে।
২) অতি ক্ষুদ্র অক্ষরে ‘কোভ্যাক্সিন’ কথাটি লেখা থাকে। যা ঝট করে চোখেই পড়ে না।
৩) লেবেলে যেখানে কোভ্যাক্সিন লেখা আছে, তার এক্স (X)-এ একটি বিশেষ ধরনের রং ব্যবহৃত হয়েছে। গ্রিন ফয়েল এফেক্ট আছে তাতে।
৪) গোটা ‘কোভ্যাক্সিন’ লেখাটিতেই আবার দেওয়া হয়েছে হলোগ্রাফিক এফেক্ট।
স্পুটনিক
১) রাশিয়ার দু’টি জায়গা থেকে মূলত এই প্রতিষেধক ভারতে আসছে। দু’জায়গার প্রতিষেধকে ব্যবহার করা হয়েছে দু’ধরনের লেবেল। লেবেলের কারুকাজ এক থাকলেও দু’ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারক সংস্থার নাম আলাদা।
২) রাশিয়া থেকে আসা সব প্রতিষেধকের লেবেলে বেশিটাই লেখা রয়েছে রুশ ভাষায়। শুধু ৫ অ্যামপুলের প্যাকেটের সামনে এবং পিছনে ইংরেজি ভাষায় লেখা থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy