প্রতীকী ছবি।
বড় ও ছোটদের উপরে চূড়ান্ত তথা তৃতীয় পর্বের পরীক্ষার জন্য ‘বায়োলজিক্যাল ই’ সংস্থার কোর্বেভ্যাক্স প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। এর সঙ্গে ‘রিলায়্যান্স লাইফ সায়েন্সেস’-কে মানবদেহে তাদের টিকার প্রথম দফার পরীক্ষা শুরু করারও অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক আজ এ কথা জানিয়েছে।
দেশীয় প্রযুক্তিতে ও সস্তা উপাদানে তৈরি বলে ‘বায়োলজিক্যাল ই’-র কোর্বেভ্যাক্স টিকার দাম কম হওয়ার আশা। বিদেশি বরাতের কারণে ভারতের অন্যান্য সংস্থা সরকারকে যথেষ্ট টিকা জোগাতে পারছে না। গোটা দেশে টিকাকরণ অভিযানে যার প্রভাব পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে হায়দরাবাদের সংস্থা ‘বায়োলজিক্যাল ই’-কে ৩০ কোটি ডোজ় কোর্বেভ্যাক্স টিকার আগাম বরাত দিয়ে রেখেছে কেন্দ্র। তার জন্য কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ১৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে তাদের। এর আগে মিশন কোভিড সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় গবেষণা খাতে ১০০ কোটি টাকা দিয়ে ‘বায়োলজিক্যাল ই’ সংস্থাকে সাহায্য করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত দৌড়ে পিছিয়ে থাকলেও চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেলে ও এক বার ঢালাও উৎপাদন শুরু হলে দেশে টিকাকরণের ছবি পাল্টে যেতে পারে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পলের মতে, আগামী মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়ে যাবে ‘বায়োলজিক্যাল ই’। কোর্বেভ্যাক্স ছাড়পত্র পেলে, তা হবে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, জ়াইডাস ক্যাডিলার জ়াইকোভ-ডি-র পরে স্বদেশে তৈরি তৃতীয় প্রতিষেধক।
কেন্দ্রের বায়োটেকনোলজি দফতরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বায়োলজিক্যাল ই’ সংস্থার তৈরি এই প্রতিষেধকের কাজের ধরন কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের মতো অন্যান্য টিকার থেকে কিছুটা ভিন্ন। ভাইরাসকে বংশবৃদ্ধির জিনবস্তু দেহকোষে ঢোকার পথ করে দেয় এর গায়ে লেগে থাকা কাঁটা তথা স্পাইক। কোর্বেভ্যাক্স সরাসরি স্পাইক প্রোটিন ঢুকিয়ে দেয় শরীরে। তা থেকে তৈরি হয় এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা। অন্য টিকা স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে ভিন্ন উপায়ে। কোর্বেভ্যাক্সের পদ্ধতি অনেক বেশি নিরাপদ বলে দাবি সংস্থার বিশেষজ্ঞদের। ‘বায়োলজিক্যাল ই’-র দাবি, তাদের টিকা ৯০ শতাংশ সফল। কয়েক দশক ধরে হেপাটাইটিস বি-র টিকা তৈরিতে এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হচ্ছে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোভিডের কারণ ‘সার্স-কোভ-২’ ভাইরাসের জিন-কাঠামো প্রকাশের পরে, অন্যরা এই ভাইরাসদেহের গোটাটাকে কাজে লাগিয়ে টিকা তৈরিতে নামে। ‘বায়োলজিক্যাল ই’ শুধু ভাইরাসের গায়ের কাঁটা বা স্পাইকগুলির প্রোটিনের কাঠামোটি নিয়েছে। ফলে কোর্বেভ্যাক্স ‘প্রোটিন সাব-ইউনিট টিকা’। বিয়ার গাঁজিয়ে তোলার মতো করে ইস্টের মাধ্যমে স্পাইক প্রোটিনের উৎপাদন ও পরে পরিশোধন করা হয়েছে এর ক্ষেত্রে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের মতে, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষায় কোর্বেভ্যাক্স-এর ফলাফল আশাব্যাঞ্জক। আজ বড়দের পরীক্ষায় ছাড়পত্র পেলেও, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে দ্বিতীয়/তৃতীয় পর্বের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার অনুমতি দু’দিন আগেই দিয়েছে কেন্দ্র। সংস্থাটি তাদের পরীক্ষামূলক প্রয়োগর জন্য বেছে নিয়েছে মূলত ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy