-ফাইল ছবি।
করোনাভাইরাসের আরও একটি রূপ (ভেরিয়্যান্ট) কপালে ভাঁজ ফেলে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (‘হু’)-র। রূপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মু’। এ বছরের জানুয়ারিতে আমেরিকার কলাম্বিয়ায় কোভিড রোগীদের রক্তে প্রথম হদিশ মেলে রূপটির। হু-র আশঙ্কা, এই রূপটিও বাজারে চালু কোভিড টিকাগুলির কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
শুক্রবার প্রকাশিত হু-এর ‘উইকলি এপিডিমিয়োলজিক্যাল রিপোর্ট অন কোভিড-১৯’-এ করোনাভাইরাসের এই নতুন রুপটিকে ‘ভেরিয়্যান্ট অব ইন্টারেস্ট (ভিওআই)’ শ্রেণিভুক্ত করেছে। এও জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসের ডেল্টা রূপকে যে শ্রেণিতে ফেলা হয়েছে সেই ‘ভেরিয়্যান্ট অব কনসার্ন (ভিওসি)’ পর্যায়ে এটিকেও রাখা যায় কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য আরও সময় লাগবে। তবে ভাইরাসের ‘মু’ রূপটিকে তার শুঁড়ের মতো দেখতে স্পাইক প্রোটিনগুলিকে যে ভাবে দ্রুত বদলে নিতে দেখা গিয়েছে, তা যথেষ্টই উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
এখানে একটু বুঝে নেওয়া প্রয়োজন, করোনাভাইরাসের ভেরিয়্যান্ট অব ইন্টারেস্ট শ্রেণির রূপ বলতে কী বোঝানো হয়? বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই শ্রেণিতে করোনাভাইরাসের যে রূপগুলি রয়েছে তাদের কোনও দেশ বা মহাদেশের বিভিন্ন জায়গার কোভিড রোগীর রক্তে দেখা যায়। এবং বিভিন্ন জায়গায় তাদের সংক্রমণও উত্তরোত্তর বেড়ে চলে। যে হেতু এরা এক জন মানুষ থেকে অন্য জনে ছড়িয়ে পড়ছে, তাই তাদের চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যগুলিরও পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
জানুয়ারিতে কলাম্বিয়ায় প্রথম হদিশ মেলার পর গত ৮ মাসে করোনাভাইরাসের এই রূপটিকে যে ভাবে এক জায়গা থেকে দূরবর্তী অন্য জায়গার কোভিড রোগীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে, তাতে হু-র সন্দেহ, নিজের চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য এরা বদলে ফেলেছে দ্রুত। আর সেটি যদি ঘটে, তা হলে আরও উদ্বেগের বিষয়। কারণ, সেই চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তনের ফলে মানবশরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিগুলির ধোঁকা খাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বা কোভিড টিকা নিয়ে, মানবশরীরে সেই অ্যান্টিবডি যে ভাবেই তৈরি হোক না কেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy