বেশ কয়েক বছর ধরেই নাকছাবির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। একটা সময়ে বিয়ের সাজে বা সাবেকি সাজেই নাকের গয়না পরা হত। কিন্তু এখন স্কার্ট-জিন্স হোক বা যে কোনও পশ্চিমী সাজের সঙ্গেই নাকছাবি পরেন মেয়েরা। নাকছাবিরও কিন্তু রকমফের আছে। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে কখনও নোলক, কখনও নথ, আবার কখনও নথনিও পরছেন মেয়েরা। খুব বেশি গয়না পরতে যাঁরা পছন্দ করেন না, তঁদের জন্য রুপোর হালকা নাকফুলও রয়েছে।
কিন্তু কথা হল, নাকের গয়না তখনই মানাবে, তখন মুখের গড়ন বুঝে গয়না বাছা হবে। গোলপানা মুখে যেমন নাকছাবি মানাবে, মুখের আকার লম্বা বা ডিম্বাকৃতি হলে তেমন মানাবে না। কাজেই মুখের আকৃতি বুঝে নাকছাবি পরলে তবেই সাজ সম্পূর্ণ হবে। জেনে নিন, মুখের আদল অনুযায়ী কী ধরনের নাকছাবি পরবেন।
গোল মুখের জন্য
ছোট্ট স্টাড খুব ভাল মানাবে। জ্যামিতিক নকশার স্টাড বা মুক্তো, চুনি বসানো প্যাঁচ মন্দ লাগবে না। সোনা বা রুপোর ছোট্ট নাকফুল যে কোনও পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যাবে। গোল মুখে স্পাইরাল নাকছাবিও ভাল মানাবে। ভারতীয় পোশাক তো বটেই, পশ্চিমি যে কোনও পোশাকের সঙ্গে পরলেও দেখতে ভাল লাগে।

নানা রকমের নাকের গয়না পছন্দ করছে এখনকার প্রজন্ম। ছবি: সংগৃহীত।
ডিম্বাকৃতি মুখের জন্য
হিরে বা মুক্তোর স্টাড এমন মুখে দিব্যি মানিয়ে যাবে। নোজ পিন ও নোজ ক্লিপও পরতে পারেন। নোজ রিং মূলত একটু বেশি বয়সী মহিলারাই ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে নাকের সঙ্গে লাগানো সোনার রিং বা পাথর বসানো রিং পরলেও ভাল লাগবে। পলা, মুক্তো কিংবা হিরে বসানো নথও মানাবে।
মুখের গড়ন চৌকো হলে
নোজ রিং, হুপ এমন মুখে ভাল মানাবে। বেসরও পরতে পারেন। বেসরের মূল আকর্ষণ হল এর কারুকাজ। মূলত এই গয়নার নকশাই নজর কেড়ে নেয়। নোলকও পরতে পারেন। বর্তমানে আদিবাসী নকশার বড় বড় রুপোর নাকছাবি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আগে এই গয়না নাকপাশা নামে পরিচিত ছিল। এমন নাকপাশা পরেও দেখতে পারেন। মারাঠি নথ ও নথনি যাকে বলা হয়, এমন মুখে খারাপ লাগবে না। রঙিন পাথর বা মুক্তো বসানো নথ পরলে সাজটাই বদলে যায়।
পানপাতার মতো মুখ
ছোট্ট নাকফুলই ভাল মানাবে এমন মুখে। ফুল বা পাতার মতো নাকছাবি ভাল লাগবে। সোনা বা হিরের স্টাডও ভাল লাগবে।