বসন্তের মনোরম আবহাওয়া টের পাওয়ার আগেই এসে গিয়েছে প্যাচপেচে গরম! বাইরে বেরোলে এখন থেকেই চুলে গোড়া ঘেমে য়াচ্ছে। রোদের তাপের প্রভাবও পড়ছে চুলে। ফলে মাথার ত্বকে অস্বস্তি, চুলকানি ভাব, চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে এই সময়ে। যাঁদের খুশকি আছে, তাঁদের সমস্যা আরও বেশি। কারণ, খুশকির উপর ঘাম বসে তা মাথার ত্বকে ছত্রাকের সমস্যাও তৈরি করতে পারে। যা চুলের গোড়া আলগা করে চুল পড়ার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চুলের যত্ন নেওয়ার সেরা উপায় হতে পারে নিমপাতা।
মরসুম বদলের এই সময়ে শরীরে রোগের আনাগোনা কমাতে নিমপাতা খেতে বলা হয়। কারণ নিমপাতায় আছে ব্যাকটেরিয়ারোধক উপাদান। একই কারণে নিমপাতা কাজ করতে পারে মাথার ত্বকেও। কারণ ব্যাকটেরিয়া রোধ করার পাশাপাশি নিমের ছত্রাকের সংক্রমণ আটকানোরও ক্ষমতা আছে। আর আছে প্রদাহ নাশক উপাদান। যা মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রেখে চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করবে। নিমপাতা দিয়ে ঘরোয়া ভাবে তৈরি তেমন তিনটি হেয়ার মাস্কের সন্ধান দিলেন রূপটানশিল্পীরা।
১। নিম এবং আমলকি
নিমপাতা বাটা এবং আমলকি বাটা সমপরিমাণে মিশিয়ে তাতে দিন সামান্য আমন্ড অয়েল। মাথার ত্বকে ওই মিশ্রণ ভাল ভাবে মাসাজ করুন। তার পরে রেখে দিন মিনিট ২০। তার পরেপ্রথমে জল দিয়ে মাথার ত্বক ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। তার পরে শ্যাম্পু করে নিন।
২। নিম এবং মধু
নিমের পাউডার এখন বাজারে পাওয়া যায়। ভাল সংস্থার থেকে তেমন পাউডার কিনে মাখতে পারেন। ২ চামচ নিমের পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চামচ মধু এবং ১ চামচ দই। অবশ্য পাউডার না পেলে নিমপাতা বাটাও দিতে পারেন একই পরিমাণে। এ বার মিশ্রণটি মাথার ত্বকে মেখে রেখে দিন ১৫-২০ মিনিট। তার পরে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
৩। নিম এবং মেথি
২ চামচ মেথি গুঁড়োর সঙ্গে সমপরিমাণ নিমের পাউডার মিশিয়ে তাতে নারকেল বা আমন্ডের তেল মেশান। পেস্টের মতো তৈরি হলে সেটি মাথার ত্বকে আঙুল দিয়ে ভাল ভাবে ঘষে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
সতর্কতা
যেকোনও প্রাকৃতিক জিনিস থেকেই অ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকে। তাই মাথার ত্বকে ব্যবহার করার আগে মিশ্রণ আগে হাতের ভিতরের দিকের ত্বকে লাগিয়ে দেখে নিন। অস্বস্তি না হলে ব্যবহার করুন।